পরের বছর ইউরোপীয় নির্বাচনের আগে অভিবাসন নিয়ে রাজনৈতিক বক্তৃতা উতপ্ত হওয়ার সাথে সাথে মঙ্গলবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ অভিবাসন আইন কঠোর করার এবং তার পূর্বসূরি অ্যাংগেলা মার্কেলের নীতির বিপরীতে আরও ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীদের প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছেন।
এই বছরের প্রথম নয় মাসে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ জার্মানিতে আশ্রয় দাবি করেছে। এটি ২০২২ সালের মোট আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যার চেয়ে বেশি। অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পূর্ণ হওয়ায় আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, এর ব্যয় টেকসই নয়।
সম্প্রতি শোলজ বলেছেন, খুব বেশি অভিবাসী জার্মানিতে আসছে। সোমবার সন্ধ্যায় বার্লিনে দেশের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের গভর্নরদের সাথে কয়েক ঘন্টার বৈঠকের আয়োজন করার পরে মঙ্গলবার ভোর তিনটার আগে তিনি একটি চুক্তি প্রকাশ করেন। তার দাবি এতে অভিবাসন কমবে।
এই চুক্তি অনুযায়ী, ফেডারেল সরকার অঙ্গরাজ্য এবং পৌরসভাগুলোকে প্রতি উদ্বাস্তুর জন্য ৮ হাজার ডলার করে প্রদান করবে। বর্তমানে এজন্য বার্ষিক যে অর্থ প্রদান করা হয় তার পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি। শোলজ বলেন, এটি চাহিদা অনুযায়ী ফেডারেল দেয় অর্থের হ্রাস-বৃদ্ধির সুবিধা দেবে।
অভিবাসীদের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার সময় দ্বিগুণ করাসহ আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সুবিধাসমূহ হ্রাস করা হবে। চ্যান্সেলর শোলজ আশ্রয়ের সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত করার এবং শরণার্থী মর্যাদা প্রত্যাখ্যাতদের প্রত্যাবাসন সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পোলিশ, চেক এবং সুইস সীমান্তে অস্থায়ী চেকপোস্ট থাকবে। সরকার মানব পাচারের জন্য কঠোর শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এটি শোলজের পূর্বসূরীর নীতি থেকে একটি বিশাল পরিবর্তন। ২০১৫ সালে মার্কেলে চ্যান্সেলরশিপের অধীনে জার্মানি ১০ লাখের বেশি শরণার্থীর জন্য তার সীমান্ত খুলে দিয়েছিল।
দেশটি ১০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে। তাদেরকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পরে অস্থায়ী সুরক্ষা দেয়া হয়েছে।
ব্রাসেলসে সেন্টার ফর ইউরোপীয়ান রিফর্ম-এর বিশ্লেষক ক্যামিনো মর্তেরা-মার্টিনেজ বলেন, চ্যান্সেলর শোলজ আগামী বছরের জুন মাসে নির্ধারিত ইউরোপীয় নির্বাচনের ওপর নজর রাখছেন।