জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস সোমবার মানবিকতার কারণে গাজা ভূ-খণ্ডে যুদ্ধবিরতির জরুরি আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি শিশুর “কবরস্থানে” পরিণত হচ্ছে গাজা।
জাতিসংঘে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সামনের পথ স্পষ্ট। মানবিক যুদ্ধবিরতি। এখনই।”
তিনি বলেন, সব পক্ষকেই আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে মর্যাদা দিতে হবে। সশস্ত্র সংঘাতে কোনও পক্ষই এই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
ইসরাইলের মধ্যে ৭ অক্টোবরে হামাস হামলা চালিয়ে ২৪০ জন পুরুষ, নারী ও শিশুকে অপহরণ করেছিল। সেই প্রসঙ্গে অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস বলেন, “এর অর্থ হল, গাজায় আটকে থাকা পণবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি—এখনই।”
পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, “তাদের দ্রুত মুক্তির জন্য কাজে আমি বিরাম দেব না।”
অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মর্যাদা দেওয়ার অর্থ হল, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা; এর মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করা। সেই সঙ্গে গাজা ভূ-খণ্ডে হাসপাতাল, জাতিসংঘের নানা কেন্দ্র, আশ্রয় ও স্কুলকে রক্ষা করতে হবে। অবরুদ্ধ অঞ্চলে ত্রাণ ও জ্বালানির জোগান বৃদ্ধির কথাও তিনি বলেন।
তাঁর কথায়, “এই আবেদনগুলির একটিও অন্যের শর্তসাপেক্ষে হওয়া উচিত নয়।”
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়েছেন যে, পণবন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত মানবিক বিরতির কোনও প্রশ্ন নেই।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস বলেন, “গাজার দুঃস্বপ্ন” কেবল একটা মানবিক সংকট নয়, বরং এটা “মানবতার সংকট।” এরই সঙ্গে তিনি বলেন, এই ভোগান্তি থামানোর মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে এই সংঘর্ষে যুক্ত সব পক্ষ ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর।