যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে (বাংলাদেশের) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার কোন 'আল্টিমেটাম' দেওয়া হয়নি। ভয়েস অফ আমেরিকার প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র একথা জানান।
ভারতীয় একটি সংবাদ পোর্টালে ১৭ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সফররত ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের যে বৈঠক হয়, সে বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় যে যুক্তরাষ্ট্র চায়, ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে পদত্যাগ করে দায়িত্বভার জাতীয় সংসদের স্পীকারের হাতে তুলে দেন। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, "এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ব্যাপারে কোন আল্টিমেটাম দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে কোন বিশেষ দলকে সমর্থন করে না।"
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভয়েস অফ আমেরিকাকে আরও বলেন, আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোমেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আখতারের ১৬ অক্টোবরের বৈঠকে নির্বাচন ও আফরিন আখতারের কক্সবাজার সফরসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। "তবে, আফরিন আখতার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বলে যে রিপোর্টটি বের হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা," বলে পুনর্ব্যক্ত করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং-এ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ৩ নভেম্বরের ডেডলাইন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, "কোন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমরা কোন পক্ষ নেই না।"