সোমবার ইউশেভেদ লিফশিৎজ নামে এক ইসরাইলী নারীকে মুক্তি দেয় হামাস। তিনি একজন শান্তিকামী অধিকারকর্মী, যিনি স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে গাজায় অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে সহায়তা করে আসছেন। দাদীর বিষয়ে বলতে যেয়ে তার নাতি রয়টার্সকে এসব তথ্য দেন।
হামাস বলছে তারা লিফশিৎজ (৮৫) ও দ্বিতীয় এক নারী, নুরিৎ কুপার (৭৯) কে স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তি দিয়েছে। এই দুইজনসহ ২০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে ৭ অক্টোবরের হামলার সময় জিম্মি করে সংগঠনটি। এ হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি নিহত হন।
লিফশিৎজ ও তার ৮৩ বছর বয়সী স্বামী ওদেদকে দক্ষিণ ইসরাইলে গাজা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত নির ওজ কিব্বুৎজ এ অবস্থিত তাদের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। সোমবার দিনের শেষভাগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। ওদেদ এখনো বন্দী আছেন বলেও জানায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
দাদীর মুক্তি নিশ্চিত হওয়ার আগে নাতি ড্যানিয়েল লিফশিৎজ রয়টার্স কে তেল আবিবে জানান, “তারা মানবাধিকার কর্মী। তারা তাদের সারা জীবন শান্তির জন্য কাজ করেছেন।”
তিনি আরও জানান, “এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, প্রতি সপ্তাহে তারা অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের পশ্চিম তীর নয়, বরং গাজা উপত্যকা থেকে এরেজ সীমান্ত দিয়ে নিয়ে এসে ইসরাইলি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন, যাতে তারা ক্যান্সারসহ সব ধরনের রোগের চিকিৎসা পান।”
এই ২ নারীর আগে আরও ২ নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়। শুক্রবার হামাস যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী ও তার কন্যা সন্তানকে মুক্তি দেয়।
ইসরাইলি হামলায় ২ সপ্তাহে অন্তত ৫ হাজার ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে আছেন ২ হাজার ৫৫টি শিশু। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়েছে।