নিজারের জান্তা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত কারাবন্দী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। তার মুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক আহ্ববান সত্বেও গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি সামরিক বাহিনীর হাতে কারাবন্দী রয়েছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাজুম ও তার পরিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগীদের সহায়তায় গাড়িতে করে রাজধানী নিয়ামের অদূরে গিয়ে সেখান থেকে একটি হেলিকাপ্টারে করে প্রতিবেশী নাইজেরিয়ায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জাতীয় টেলিভিশনে বলেন, “প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করার এই পরিকল্পনা ব্যর্থ করা সম্ভব হয়েছে।”
রয়টার্স বলছে তারা এই খবরের সত্যতা বা বাজুমের অবস্থান জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করে তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
গত তিন বছরে পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় সাহেল অঞ্চলে যে পাঁচটি অভ্যুত্থান ঘটেছে তার মধ্যে নিজারের অভ্যুত্থানটি অন্যতম, যার ফলে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের শুষ্ক ভূখণ্ডের এ দেশটি সামরিক শাসকদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
ঐ অঞ্চলে ইসলামপন্থী বিদ্রোহের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোর নির্বাচিত প্রেসিডেন্টদের মতো বাজুমকেও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ঐ বিদ্রোহে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। সামরিক বাহিনী বলেছে তারা একটি বেসামরিক সরকারের চেয়ে ভালভাবে দেশটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।
বাজুমের দল ও পরিবারের সদস্যরা বলেছেন যে বাজুমকে পানি, বিদ্যুৎ বা তাজা খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না। এই ঘটনার নিন্দে করেছেন বাজুমের সাবেক পশ্চিমি মিত্ররা।
এছাড়াও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সামরিক শাসকরা ফরাসি সৈন্যদের নিজার ত্যাগের নির্দেশ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার ফরাসি সৈন্যদের প্রথম দলটি স্থল পথে প্রতিবেশী রাষ্ট্র চাদের রাজধানী এন’জামেনায় পৌঁছেছে।
সেখান থকে সৈন্যরা বিমানে করে ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে এবং ডিসেম্বরের শেষের দিকে সেনা প্রত্যাহার শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি থাকে নেয়া।