অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইইউ-এর সাখারভ ফ্রিডম পুরস্কার পেলেন মাহসা আমিনি, পেলো ইরানের নারী আন্দোলনও


ফাইল-বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইরানের দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সময় মাহসা আমিনির সমর্থনে তাঁরই ছবি হাতে এক বিক্ষোভকারী। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২।
ফাইল-বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইরানের দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সময় মাহসা আমিনির সমর্থনে তাঁরই ছবি হাতে এক বিক্ষোভকারী। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট এ বছর মুক্তচিন্তার জন্য সাখারভ পুরস্কারে ভূষিত করল ইরানের নারী মাহসা আমিনি ও ইরানের “নারী, জীবন, স্বাধীনতা” আন্দোলনকে। প্রসঙ্গত, গত বছর পুলিশি হেফাজতে মারা যান আমিনি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে ইইউ পার্লামেন্ট।

ইইউ পার্লামেন্টের সভাপতি রবের্তা মেতসোলা এক বিবৃতিতে বলেন, “১৬ সেপ্টেম্বরে আমরা ইরানের জিনা মাহসা আমিনির হত্যার এক বছর পালন করলাম। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গর্বের সঙ্গে সেই সব সাহসী ও প্রতিবাদীদের পাশে রয়েছে যারা ইরানে সাম্য, মর্যাদা ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বিজয়ী হিসেবে তাদের বেছে নেওয়ার মাধ্যমে এই হাউজ তাদের সংগ্রামকে স্মরণ করছে এবং তাদের সবাইকে সম্মান জানাচ্ছে যারা স্বাধীনতার জন্য চরম মূল্য দিয়েছেন।”

আমিনির (২২) জন্ম ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে কুর্দিস্তান প্রদেশে। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বাধ্যতামূলক পোশাকবিধি অমান্য করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং গত বছর সেপ্টেম্বরে ইরানের নীতি-পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।

আমিনির পরিবার জানান, তাঁর মাথায় ও দেহে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের কর্তৃপক্ষ বলে, আগে থেকেই স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগার কারণে আমিনির মৃত্যু হয়েছে।

আমিনির মৃত্যু জন্ম দেয় কয়েক মাসব্যাপী বিক্ষোভের। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর এই বিক্ষোভ সবচেয়ে খারাপ রাজনৈতিক অস্থিরতার রূপ নেয়।

“নারী, জীবন, স্বাধীনতা”র ব্যানারে নারীদের চুল ঢেকে রাখা ও ঢিলেঢালা পোষাক পরতে বাধ্য করা আইনের প্রতিবাদ করছেন ইরানের নাগরিকরা।

XS
SM
MD
LG