ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বৃহস্পতিবার ইসরাইলে গিয়ে পৌঁছেছেন। যে দেশটি সাত অক্টোবর হামাসের উন্মত্ত আক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সেই দেশটির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্যই তাঁর এই ইসরাইল সফর।
তাঁর দপ্তর জানাচ্ছে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনাক ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি এলাকায় নিহতদের প্রতি তাঁর সমবেদনা প্রকাশ করবেন এবং উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবার বিরুদ্ধে সতর্ক করবেন।
ইসরাইলে নেমে সুনাক সেখানকার সংবাদদাতাদের বলেন, “ সবকিছুর আগে, আমি এখানে এসেছি ইসরাইলি জনগণের সঙ্গে আমার একাত্মতা ঘোষণা করতে । আপনারা অবর্ণনীয় পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং আমি আপনাদের জানাতে চাই যে যুক্তরাজ্য এবং আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি”।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে।ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ইসরাইল সফরের পর সুনাকের ঐ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের রাজধানীতে যাবারও কথা রয়েছে।
আগে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন , মঙ্গলবার গাজার একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণ, যাতে ব্যাপক ভাবে ফিলিস্তিনিরা হতাহত হয়েছে সেটি , “ঐ অঞ্চলের নেতা এবং বিশ্বকে এই যুগান্তকারী ঘটনার পর একত্রিত হবে যাতে এই সংঘাত আরও মারাত্মক আকার ধারণ না করে”।
সুনাক মিশর থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌছে দেয়ার এবং গাজায় আটকে পড়া ব্রিটিশ নাগরিকদের বেরিয়ে আসার সুবিধার্থে মিশরকে যত শিগগির সম্ভব সেই পথ খুলে দিতে বলবেন।
সুনাক বলেন, “ প্রতিটি অসামরকি লোকের মৃত্যু একটি ট্র্যাজেডি আর হামাসের ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অনেক জীবন আমরা হারিয়েছি”।
সুনাকের মুখপাত্র বুধবার জানান কমপক্ষে সাতজন ব্রিটিশ নাগরিক প্রাণ হারান এবং ইসরাইলের উপর হামাসের ঐ হামলার পর অন্তত নয় জন ব্রিটিশ নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন।
সুনাকের এই সফর ছাড়াও, ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি, যিনি গত সপ্তাহে ইসরাইল সফর করেন, আগামি তিন দিন মিশর, তুরস্ক ও কাতার সফর করবেন। তাঁর দপ্তর জানিয়েছে তিনি সেখানে এই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এর শান্তিপূর্ণ নিস্পত্তি চাইবেন।
ব্রিটেন বলেছে, “ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, জিম্মিদের মুক্ত করাতে এবং মানবিক কারণে গাজার সঙ্গে সম্পৃক্ত হবার আন্তর্জাতিক প্রয়াসে” এই তিনটি দেশ “ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”।