অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের পর রাশিয়া নিষিদ্ধ করলো জাপানি সী ফুড আমদানি


হংকং-এর এক সুপারমার্কেট। সুশি ও সাশিমি বিকিকিনির একটি দোকান। কিছু পণ্যের গায়ে ‘জাপান থেকে আমদানি’ লেখা রয়েছে। ২৪ আগস্ট, ২০২৩।
হংকং-এর এক সুপারমার্কেট। সুশি ও সাশিমি বিকিকিনির একটি দোকান। কিছু পণ্যের গায়ে ‘জাপান থেকে আমদানি’ লেখা রয়েছে। ২৪ আগস্ট, ২০২৩।

রাশিয়া সোমবার তাদের মিত্রশক্তি চীনের পথ অনুসরণ করল। তারা জাপানের সামুদ্রিক খাদ্যসামগ্রী আমদানি রদ করেছে। ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে বর্জ্য জল ছাড়ার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে জাপান তীব্র সমালোচনা করে এসেছে। এদিকে, বেইজিং-এর সঙ্গে টোকিও-র সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। বেইজিং-এর সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক গভীর।

রাশিয়ার কৃষিপণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা রসেলখোজনাদজর বলেছেন, “সতর্কতামূলক ব্যবস্থা” হিসেবে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে জাপানের মাছ ও সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধ করার বিষয়ে তারা চীনের বিধিনিষেধমূলক পদক্ষেপকে গ্রহণ করছে।

তারা জানিয়েছে, “যতদিন না সামুদ্রিক খাদ্যসামগ্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার তথ্য আসছে” ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

জাপান সরকার চীনের নিষেধাজ্ঞাকে রাজনৈতিক ও অবৈজ্ঞানিক আখ্যা দিয়েছে। রাশিয়ার এই পদক্ষেপ নিয়েও তারা এখনও কিছু বলেনি।

২০১১ সালে ব্যাপক ভূমিকম্প ও সুনামির পর জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ফুকুশিমা-দাইচি পারমাণবিক কেন্দ্রের রিয়্যাক্টর নষ্ট হতে শুরু করে। উল্লেখ্য, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।

সেই ঘটনার পর বারো বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই আগস্টে ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক কেন্দ্রের শোধিত সংক্রামিত জল প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়তে শুরু করে জাপান।

এর প্রতিক্রিয়ায় জাপানের সমস্ত সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে দেয় চীন। এইভাবে জল নিষ্কাশনকে “স্বার্থপর” ও “দায়িত্বজ্ঞানহীন”ও বলে তারা। চীন আরও অভিযোগ করে, জাপান সমুদ্রকে “নর্দমা”র মতো ব্যবহার করছে।

XS
SM
MD
LG