তেহরান মেট্রোতে কথিত হেনস্তার শিকার ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর শারীরিক অবস্থার "অবনতি" হয়েছে। তিনি এখনও কোমায় রয়েছেন। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা-র বক্তব্য অনুযায়ী, আরমিতা গারাবন্দ নিম্ন রক্তচাপের কারণে অচৈতন্য হয়ে গিয়েছিলেন।
তবে, কুর্দ-ঘনিষ্ঠ অধিকার গোষ্ঠী অভিযোগ তুলেছে যে, ইরানের কঠোর পোশাকবিধি অমান্য করায় নারী পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে আরমিতা আহত হয়েছিলেন।
ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থা বোর্না জানিয়েছে, "ফজর হাসপাতালে চিকিৎসা কর্মীদের লাগাতার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আরমিতা গারাবন্দের তুলনামূলক স্থিতিশীল লক্ষণগুলির পরিবর্তন এবং অবনতি হয়েছে…গত কয়েক দিনে।"
এই সংবাদ সংস্থা আরও বলেছে, "যাই হোক, আরমিতা গারাবন্দের অবস্থার উন্নতির জন্য চিকিৎসক দলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।"
গারাবন্দ তেহরানেই থাকেন। তবে, তিনি আসলে কেরমানশাহ শহরের বাসিন্দা। এই শহর ইরানের রাজধানী থেকে মোটামুটি ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) দূরে অবস্থিত। কুর্দ-অধ্যুষিত ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে এই শহরটি।
জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলি ও অধিকার গোষ্ঠীগুলি এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার একটি কথিত ভিডিও প্রচার হয়ে গেলে অনেকে সরব হয়।