অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সুস্মিতা সেনের হার্ট অ্যাটাক ও ত্রিশোর্দ্ধ মহিলাদের হার্টের যত্ন


অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন
অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন

‘‘হৃদয়কে খুশি আর সাহসী রাখো, এটা তোমার পাশে তখন দাঁড়াবে, যখন তোমার এটিকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সোনা। (আমার বাবার সুবীর সেনের বুদ্ধিদীপ্ত কথা) কয়েকদিন আগে আমি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলাম...অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছে। স্টেন্ট বসেছে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমার কার্ডিওলজিস্ট পুনরায় নিশ্চিত করেছেন 'আমার একটি বড় হৃদয় আছে'। অনেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সময়মতো পদক্ষেপের জন্য। পরে এই নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট করব। এখন শুধু বলব সব ঠিক আছে এবং জীবনের জন্য নতুন করে প্রস্তুত!!! আপনাদের অনেক ভালোবাসি।’’ অনুগামীদের উদ্দেশ্যে ২রা মার্চ, ২০২৩-এ নিজের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল থেকে এই বার্তা লেখেন ভারত থেকে ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জেতা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মডেল ও হিন্দি চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। গত মার্চে তার বয়স তখন ৪৭ বছর।

এক্ষেত্রে তার বয়স উল্লেখ জরুরি কারণ বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৩৫-৫০ এই সময়টাই মহিলাদের জন্য বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনের সময়। বয়সের এই পর্বে মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগ সংক্রান্ত নানা সমস্যা প্রবল হয়, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদিও চিকিৎসারা বলছেন যে কোনও বয়সেই এখন হৃদরোগ হতে পারে। তাই সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি।

২৯ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস। এই দিবস উদযাপনে ২০২৩ অর্থাৎ এই বছরের থিম হল “Use Heart, Know Heart”।চিকিৎসকদের মতে, মহিলাদের মধ্যে বাড়তে থাকা হৃদরোগের ঝুঁকি ও হৃদরোগের উপসর্গগুলি, পুরুষদের থেকে খানিকটা আলাদা হতে পারে। তাই সচেতন হতে এবং সমস্যা থেকে বাঁচতে তাদের প্রয়োজন এর কারণগুলির সঠিক অনুসন্ধান – প্রতিরোধ - সচেতনতা গড়ে তোলা।

মহিলাদের হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি বাড়ার কারণ

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভয়েস অফ আমেরিকা কথা বলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ‘নরবি সুপার স্পেশ্যালিটি হসপিটাল’-এর কনসাল্টেন্ট ফিজিশিয়ন ডাঃ সুমন ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ‘আমরি হসপিটাল(ঢাকুরিয়া)’-র মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল এবং কলকাতার বরিষ্ঠ কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ গৌতম ব্যানার্জির সঙ্গে। তিনজনের বক্তব্য থেকে মহিলাদের হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি বাড়ার কারণ হিসাবে যে বিষয়গুলি উঠে আসে তা হল –

· পরিবর্তিত ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন

· শরীরচর্চা না করা

· ধূমপান ও মদ্যপানের চাহিদা বৃদ্ধি

· খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

· মানসিক অস্থিরতা, মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ, প্রাত্যহিক জীবনে অনিয়ম

· মহিলাদের নানা শারীরিক পরিবর্তন

ডাঃ সুমন ঘোষ জানান "মহিলাদের হার্ট অ্যার্টাকের প্রথম কারণ হল অসচেতনতা। ভারতে ১৯৮০ সাল থেকে পুরুষদের শরীরের বিষয়ে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলাদের ক্ষেত্রে সেইটি শুরু হয় ২০০০ সালের পর থেকে। মধ্যবয়স্ক মহিলারা যারা পেরিমেনোপোজাল বা পোস্ট মেনোপোজাল অবস্থায় আছেন তাদের ক্ষেত্রে সাধারণ উপসর্গ ছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণ থাকতে পারে যেমন- ঘুমের ব্যাঘাত, ক্লান্তি ভাব, ডিপ্রেশন, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি। এই বিষয়গুলিকে প্রথম থেকেই খেয়াল করতে হবে ও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।"

ডাঃ গৌতম ব্যানার্জি বলেন "বিভিন্ন কো-মর্বিডিটির লক্ষণ যেমন- উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবিটিস কিংবা কোলেস্টেরল থাকলে, এছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান মধ্যবয়সী মহিলাদের হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভবনাকে বাড়িয়ে তোলে।" জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের সঙ্গে ধূমপান, মদ্যপান গ্রহণের মাত্রা যে পরিমাণে বেড়েছে তা প্রয়োজন হলে কাউন্সেলিং করিয়ে অবিলম্বে কমানো দরকার বলে মনে করেছেন ডাঃ সুমন ঘোষ।

পিসিওএস (Polycystic ovary syndrome) ও পিসিওডি (Polycystic Ovarian Disease) মহিলাদের হার্ট অ্যার্টাকের অন্যতম কারণ। এর ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, ওজন বৃদ্ধি পায়, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায় বলে জানিয়েছেন ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল।

তবে বর্তমানে অনেক মহিলাদের মধ্যেই (মেনোপোজের সময় বিশেষত) হরমোন প্রতিস্থাপন বা রিপ্লেসমেন্টের ঝোঁক বেড়েছে। এগুলি মহিলাদের মেনোপোজাল সিম্পটমস থেকে রক্ষা করলেও কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (CVDs)-এর মতো বিপদকেও ডেকে আনে বলে সতর্ক করেন ডাঃ সুমন ঘোষ।

প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও সচেতনতা বৃদ্ধি

চিকিৎসকদের মতে, মহিলাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের কারণ হিসেবে যে বিষয়গুলি উঠে আসছে সেই বিষয়গুলি যেমন- পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, অত্যধিক ব্যস্ততা, মানসিক চাপ ইত্যাদি সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে এতটাই অসচেতনতা দেখা যায় যে, একটা বয়সের পর অনেকেই হৃদরোগজনিত কোনও না কোনও সমস্যায় ভোগেন। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে রোজের জীবনে বদল আনতেই হবে।

ডাক্তারদের অভিমত

ভয়েস অফ আমেরিকা যে তিনজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছে তাদের বক্তব্য থেকে উঠে এসেছে - ধূমপান ও মদ্যপান, ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিঙ্ক ত্যাগের আর সঠিক খাদ্যগ্রহণ ও দৈহিক ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যয়াম করার কথা। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সরাসরি কমানো না গেলেও বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে তাকে নিয়ন্ত্রিত রাখতেই হবে।

ডাঃ গৌতম ব্যানার্জি বলেন "মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা বাঞ্ছনীয়। ভারতীয়দের মধ্যে অ্যাবডমিনাল ফ্যাট জমার প্রবণতা থাকে। এটি মেটাবলিকালি আক্টিভ ফ্যাট যা ওয়েস্ট সারকাম্ফেরেন্সের মানকে বাড়িয়ে দেয় (৮৫-৯০সেমির মধ্যে রাখা আদর্শ)।" American Diabetes AssociationAmerican Heart Association-এর গাইডলাইন অনুযায়ী মধ্যবয়সী মহিলাদের হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সকালে বা বিকেলে ৩০ মিনিট/দিন ও ৫ দিন/ সপ্তাহ হাঁটতেই হবে বলে জানান ডাঃ সুমন ঘোষ।

অন্যদিকে, ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল মনে করেন – "জেনেটিক বিভিন্ন অসুখ, ডায়াবিটিস, হাইপারটেনসন ইত্যাদি থাকলে মিনিমাম ৩০ বছর বয়স থেকে রেগুলার চেকআপ (কোলেস্টেরলের মাত্রা, কিডনি, প্রেশার ইত্যাদি) প্রয়োজন। টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।"

এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ভয়েস অফ আমেরিকা কথা বলেছে - ভারতের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ‘অ্যাবট নিউট্রিশন’-এর নিউট্রিশন অ্যাডভাইজর ঈপ্সিতা চক্রবর্তী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক রূপক দে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার জিম প্রশিক্ষক ও ফিটনেস কোচ গর্ব ঘোষের সঙ্গে।

নিউট্রিশন অ্যাডভাইজর যা বললেন -

ঈপ্সিতা চক্রবর্তী খাদ্যগ্রহণের বিষয়ে বলেন –

- খাদ্যতালিকা থেকে নুন, চিনি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথা সম্ভব কমিয়ে ফেলা দরকার।* একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের - নুন ২ গ্রাম/দিন পরিমাণে ও চিনি ১০ গ্রাম/দিন পরিমাণে গ্রহণ করাই আদর্শ। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য যেমন ভাতের পরিমাণ কমের দিকে রাখতে হবে।

- ফাইবার সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাদ্যদ্রব্য খেতে হবে যেমন ফল, শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও ওটস, আটা, রাগি, ডালিয়াও প্রতিদিনের খাদ্যে রাখা যেতে পারে।

- প্রোটিন রিচ খাবার রাখা যেতে পারে খাদ্যতালিকায়।

- বেশি পরিমানে ফ্যাট জাতীয় খাবার যেমন – তেল, ঘি, মাখন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিৎ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ২ টেবিল স্পুন তেল গ্রহণ করতে পারেন।

- এছাড়াও ক্যাডবেরি, পেস্ট্রি, ডিপফ্রায়েড ফুড, প্রসেসড ফুড বাদ দেওয়া উচিৎ। ফ্রাই করার ক্ষেত্রে এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।

*কোনোরকম শারীরিক সমস্যা বা কো-মর্বিডিটির লক্ষণ থেকে থাকলে অবশ্যই তার ওষুধ সঠিক ভাবে নিয়ম মাফিক খেতে হবে ও নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

যোগ প্রশিক্ষক যা বললেন

রূপক দে জানান, হৃদযন্ত্রকে সচল, কর্মক্ষম ও রোগের কবল থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা হলে তো খুবই ভালো না হলে ৩০ মিনিট অন্তত শরীরচর্চার জন্য সময় দিতেই হবে প্রত্যেককে। ১ ঘণ্টা সময়কে যদি আদর্শ ধরা হলে তবে - প্রথম ৩০ মিনিট হাঁটা, বাকি ১৫ মিনিট আসন অভ্যাস করা এবং শেষ ১৫ মিনিট প্রাণায়াম করা যেতে পারে।

- হাঁটার ক্ষেত্রে খুব জোরে কমপক্ষে ১৩-১৭ কিমি/ঘন্টা গতিবেগে হাঁটতে হবে। এক্ষেত্রে ঘাম তৈরি হবে যা ফ্যাটের জারণ ঘটিয়ে শক্তি তৈরি করবে শরীরে।

- আসনের ক্ষেত্রে- ভুজঙ্গাসন, ধনুরাসন, মৎসাসন, বজ্রাসন, পদ্মাসন, পবন্মুক্তাসন, সূর্যনমস্কার ইত্যাদি করা যেতে পারে। প্রাণায়ামের মধ্যে ভস্ত্রিকা, অনুলোম বিলোম ও ভ্রামরী খুবই উপকারী। *

- আধুনিক জীবনযাত্রায় স্ট্রেস যেহেতু হৃদরোগের অন্যতম একটা কারণ তাই স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন করা ভীষণ জরুরি। প্রাণায়ামের পর এটি করা ভালো। চোখ বুজে ছন্দবদ্ধ ভাবে শ্বাস নিতে হবে। প্রাথমিকভাবে নানা চিন্তা মাথায় আসলেও প্রশ্বাস - নিঃশ্বাস ছাড়ার গতিবিধির ওপর এবং কতবার প্রশ্বাস নেওয়া হচ্ছে ও নিঃশ্বাস ছাড়া হচ্ছে সেদিকে মন দিতে হবে।

- সোশ্যাল মিডিয়া দেখে অনেকের মধ্যেই শরীরচর্চা করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা অনেক সময়ে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিজের শারীরিক গঠন বা সমস্যা না বুঝে, না জেনে এগুলির চর্চা করা উচিৎ নয়।

* প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব শারীরিক গঠন, শারীরিক সমস্যা বা কো-মর্বিডিটির লক্ষণ কী আছে সেটি আগে ভাল করে জেনে নিয়ে উপযুক্ত প্রশিক্ষকের সাহায্যেই শরীরচর্চার করার পরামর্শ তিনি দিয়েছেন

জিম প্রশিক্ষক যা বললেন

গর্ব ঘোষ যে বিষয়টির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন তা হল নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটা। যারা প্রাথমিকভাবে কোচের গাইডেন্স ছাড়াই শরীরচর্চা শুরু করছেন তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক অভ্যাসের মধ্যে হাঁটাকে রাখতেই হবে আর খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে।

- মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের নানা সমস্যা শুরু হতে থাকে তাই জয়েন্ট হেলথের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। সাধারণ কিছু অভ্যাস যেমন- স্কোয়াট, ফ্রি হ্যান্ড কিছু ব্যায়াম, পুশ আপ (ইন ক্লাইন), স্পট জাম্পিং, জাম্পিং জ্যাক, স্কিপিং, সাইকেল চালানো এগুলি করা যেতে পারে।

- যারা দীর্ঘ সময়ে এক জায়গায় বসে কাজ করেন তারা যেন প্রতি ৩০/৪৫ মিনিট অন্তর উঠে সামান্য স্ট্রেচিং বা খানিকটা হেঁটে নেন। কারণ একভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে থাকতেই শরীর স্টিফ হতে থাকে ফলে পড়ে যাওয়া, চোট লাগার প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও শুরু হয়।

- স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের ভীষণ দরকার। কিন্তু বর্তমানে অনেকের কাছে এতটা সময় দেওয়া সম্ভব হয় না সেক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুম আবশ্যক। নাহলে ধীরে ধীরে শরীরকে ক্লান্তি গ্রাস করবে যা হৃদযন্ত্রে চাপ তৈরি করবে।

- আধুনিক সময়ে অনেকেই জিমে যাওয়াকে একটা ট্রেন্ড বানিয়ে ফেলেছেন। ফলত, প্রথম কিছুদিন শারীরিক কসরত করার পর তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এটা যে দৈনন্দিন জীবনে শরীর সুস্থ রাখার একটা অভ্যাস সেটাকে ভুলে যান। এই ধারণাতে বদলের প্রয়োজন আছে। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তাই প্রথমে জিমচর্চার পরিমাণ অল্প রেখে ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়ানোর পরামর্শ তিনি দিয়েছেন। সপ্তাহে ৩ দিন জিমে গিয়ে শরীরচর্চা আর বাকি দিনগুলি স্রেফ হাঁটা বা বডি মুভমেন্টই শরীর সুস্থ রাখার জন্য যথেষ্ট।

XS
SM
MD
LG