বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “আগামী নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।” বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার আমিনবাজারে, ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, “আগামী নির্বাচনে কারচুপি করার পথে যারা হাত বাড়াবে, তারা কেউ রেহাই পাবে না।” তিনি বলেন, “বারবার বলা হচ্ছে, ভোট কারচুপির সঙ্গে যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবেন; যারা দেখেও না দেখার ভান করছেন তারা কেউ বাদ যাবেন না।”
আমীর খসরু বলেন, “আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদ হবে, যারা জনগণের কাছে দায়ী থাকবে, তাদের জবাবদিহি থাকবে।”
বিদেশীদের একটাই চাওয়া, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন: সালমান এফ রহমান
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, “বিদেশীদের একটাই চাওয়া, তা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়।” তিনি বলেন, “বিদেশিরা বর্তমান সরকার-কে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে বিএনপি নেতারা যে দাবি করেছেন, তা গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।”
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “বিদেশীদের একটাই চাওয়া, তা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। তাদের চাওয়া এবং সরকারের চাওয়া এক। বর্তমান সরকার-ও অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সালমান এফ রহমান বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে; কেউ অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলে, তাদের জন্য নির্বাচন স্থগিত করা হবে না। বেশিরভাগ দলই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত।” আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্য, নিরপেক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।