মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনীতির ক্ষেত্র তৈরি করতে চাইলে ইরানকে অবশ্যই তার পারমাণবিক কর্মসূচিতে “উত্তেজনা হ্রাসকারী” পদক্ষেপ নিতে হবে।
একটি ব্রিফিং-এ মুখপাত্র ম্যাট মিলারের এমন মন্তব্য সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দ্বিতীয়বারের মতো ছিল।যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের পারমাণবিক কার্যকলাপের ওপর জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার তদারকিকে বাধাগ্রস্ত করে দেশটিতে নিযুক্ত একাধিক আইএইএ পরিদর্শককে বাধা দেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য ইরানের সমালোচনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অনেক পশ্চিমা মিত্ররা আশঙ্কা করছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির একটি ঢাল হতে পারে। ইরান এ ধরনের কার্যক্রমের কথা অস্বীকার করেছে।
মিলার বলেন, “ইরান যদি উত্তেজনা হ্রাস করতে চায় এবং কূটনীতির জন্য একটি জায়গা তৈরি করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই উত্তেজনা হ্রাসকারী পদক্ষেপ নিতে হবে।”
মিলার বলেন, তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যেভাবেই হোক না কেন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সাথে সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনার নবায়নে সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে কথা বলছেন। তিনি এর বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
আইএইএ ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তির ক্ষেত্রে ইরানের সম্মতি যাচাই করার জন্য দায়ী ছিল।এর অধীনে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার বিনিময়ে তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচী স্থগিত করেছিল।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা এক বছর আগে ভেঙে যায়। ওয়াশিংটন তেহরানকে তার কর্মসূচী নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নতুন একটি উপায় অনুসন্ধান করছে।