সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার মিত্র আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। গত সপ্তাহে আজারবাইজান বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের যোদ্ধাদের পরাজিত করার পর হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ান নাগর্নো-কারাবাখ ত্যাগ করা শুরু করেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, কারাবাখ অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলিয়েভের সাথে আলোচনা করতে এরদোয়ান আজারবাইজানের স্বায়ত্তশাসিত নাখচিভান ছিটমহল সফর করবেন। এটি আর্মেনিয়া, ইরান এবং তুরস্কের মধ্যে অবস্থিত আজেরি ভূখণ্ডের একটি এলাকা।
কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত ছিল কিন্তু পূর্বে এর নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। এখানকার আর্মেনিয়ানরা অনেক বৃহৎ আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর ২৪ ঘণ্টার সামরিক অভিযানের পরে গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়।
রবিবার নাগর্নো-কারাবাখ নেতৃত্ব রয়টার্সকে জানিয়েছে, এই অঞ্চলের ১ লাখ ২০ হাজার আর্মেনিয়ান আজারবাইজানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না এবং নিপীড়ন ও জাতিগত নির্মূলের ভয়ে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ সোমবার ভোরে আর্মেনীয় সরকারের এক বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলেছে, মধ্যরাত পর্যন্ত দেড় হাজার জনের বেশি মানুষ নাগর্নো-কারাবাখ থেকে আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে।
আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান ৩০ বছরে ছিটমহল নিয়ে দুটি যুদ্ধ করেছে- ২০২০ সালে ছয় সপ্তাহের সংঘাতে আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখ এবং এর আশেপাশের কিছু অংশ ফিরে পেয়েছে।
এরদোয়ান ২০২০ সালের সংঘাতে আজেরিদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন, তিনি আজারবাইজানের সর্বসাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন করেন তবে তিনি এতে কোনো ভূমিকা পালন করেননি।
আর্মেনিয়া বলেছে, গত সপ্তাহের আজেরি অভিযানে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং আর্মেনিয়ার অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।