অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হাইতিকে নতুন সাহায্যের অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের; নিরাপত্তা মিশন অনুমোদন করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান


হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এ হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করছে “জি-৯ অ্যান্ড ফ্যামিলি”র সশস্ত্র সদস্যরা; ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এ হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করছে “জি-৯ অ্যান্ড ফ্যামিলি”র সশস্ত্র সদস্যরা; ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার হাইতির পুলিশকে সহায়তার জন্য আরো ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার সাহায্য ঘোষনা করেছে। আর, ক্যারিবিয়ান দেশটিকে পঙ্গু করে দেয়া অপরাধী চক্রের সহিংসতা মোকাবেলায় সহায়তা করতে একটি বহুজাতিক নিরাপত্তা মিশন মোতায়েনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

হাইতির নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিউইয়র্কে আয়োজিত এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন এই মিশন ”কয়েক মাসের মধ্যে” মোতায়েন করা হতে পারে। তিনি আরো বলেন, “প্রকৃত অর্থেই আমাদের সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই।”

হাইতি গত বছর সহিংস অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা চায়। এই অপরাধী চক্রগুলো রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এর ব্যাপক অঞ্চল দখল করে আছে। কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, বহুজাতিক পুলিশ মোতায়েনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবের উপর আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভোটা গ্রহণ হতে পারে।

ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই বহুজাতিক বাহিনীতে কোনো সৈন্য দিচ্ছে না। তবে, বাইডেন প্রশাসন এই মিশনকে ১০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট সহায়তা দিতে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করবে। এই সহায়তার মধ্যে থাকতে পারে গোয়েন্দা সহযোগিতা, বিমানে করে উদ্ধার, যোগাযোগ ও চিকিৎসা সহায়তা।

ব্লিংকেন আরো বলেন, শুক্রবার ঘোষিত ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সহায়তার লক্ষ্য হলো, হাইতির পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা। যারা সহিংসতায় সহায়তা করেছে, হাইতির এমন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর নতুন করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্লিংকেন বলেন, ওয়াশিংটন কেনিয়ার তিন অংশে বিভক্ত নিরাপত্তা লক্ষ্যকে সমর্থন করে। এর মধ্যে রয়েছে; হাইতির পুলিশকে সহায়তা করা, অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘ মেয়াদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, "আমরা হাইতির কথা ভুলে যেতে পারি না।"

বিভিন্ন দেশ প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির অনির্বাচিত প্রশাসনকে সমর্থন করার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেছে। হেনরি বলেছেন, বর্তমান নিরাপত্তাহীনতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। জানুয়ারি থেকে হাইতিতে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই।

হাইতির সবচেয়ে শক্তিশালী অপরাধী চক্রের নেতা এই সপ্তাহে হেনরিকে সশস্ত্র পথে উৎখাতের ঘোষণা দিয়েছে। আর, অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে হাইতিবাসীদের রাস্তায় নেমে আসতে আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক প্রতিবেদনে বলেন, হাইতিতে আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং অপরাধী চক্রগুলোকে নিরস্ত্র করতে বহুজাতিক পুলিশ মোতায়েন এবং সামরিক সম্পদের জোরালো ব্যবহার প্রয়োজন।

XS
SM
MD
LG