যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ শুক্রবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে দুটি নতুন ওয়ার্কিং গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হচ্ছে। এই ফোরামের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে অর্থনৈতিক ও আর্থিক বিষয়ে নিয়মিতভাবে নীতির আদানপ্রদান।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই দুই গ্রুপ “নিয়মিতভাবে বৈঠক করবে” এবং ইয়েলেন ও চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হি লিফেং-এর কাছে রিপোর্ট পেশ করবে।
ইকোনোমিক ওয়ার্কিং গ্রুপের জন্য চীনের অর্থ মন্ত্রক ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ একে ওপরের সমকক্ষ (হিসেবে কাজ করবে) এবং পিপলস ব্যাংক অফ চায়নার সমকক্ষ হিসেবে কাজ করবে (যুক্ত্ররাষ্ট্রের) ফাইন্যান্সিয়াল ওয়ার্কিং গ্রুপ।
জুলাই মাসে (বানিজ্যমন্ত্রী) জ্যানেট ইয়েলেনের বেইজিং সফরের পরে এই গোষ্ঠী দুটি গঠন করা হয়। বছরের পর বছর ধরে দু-দেশের সম্পর্ক অবনতির পরে অর্থনৈতিক ও আর্থিক ইস্যুগুলোতে যোগাযোগ পুনরায় স্থাপনের উদ্দেশ্যে ইয়েলেন, হি এবং অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করেন।
ইয়েলেন X-এ (এক্স যা পূর্বে টুইটার) বলেন, 'ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয়গুলো,আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া যাতে আমেরিকান শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য সমান সুযোগ থাকে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা এগিয়ে নেয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, “আলোচনা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যখন আমরা দ্বিমত পোষণ করি।”
চীনের অর্থমন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক উভয়ই অর্থনৈতিক ও আর্থিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি জারি করেছে তবে এই বিষয়গুলি যোগাযোগ এবং সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে করা হয়েছে এ কথা বলার পাশাপাশি তারা কয়েকটি বিশদ বিবরণ দিয়েছে।
উর্দ্ধতন এক ট্রেজারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইয়েলেন চীনা কর্মকর্তাদের কাছে পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র উন্নয়নকামী দেশেগুলোর ধ্বসে পড়া অর্থনীতির জন্য ঋণ পুনঃবিন্যাস, জলবায়ু অর্থায়ন এবং অর্থ পাচার বিরোধী প্রচেষ্টাসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র এই গ্রুপগুলোকে ব্যবহার করবে।