অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স দিবস: রোগ নির্ণয় ও ঝুঁকি হ্রাসে চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

ইকবাল আহমেদের বয়স ৮১ বছর। এতদিন ‍তিনি নিজের কাজগুলো নিজেই করতে পছন্দ করতেন। রোজ বাজার-সদাই করা, বাড়ির ইউটিলিটি বিল দেয়া, নিয়ম করে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া এ সবকিছুই তার রোজকার রুটিনের মধ্যেই ছিলো। তবে হঠাৎ করেই তিনি ছোটছোট বিষয়গুলো ভুলে যেতে শুরু করেন। নামাজ পড়ে ভুলে যাচ্ছেন যে পড়েছেন। টাকা-পয়সা হারাচ্ছেন, বাসার চাবি, আলমারির চাবি কোথায় রাখছেন তা মনে করতে পারছেন না। বাজারে গিয়ে কী কিনবেন মনে করতে পারছেন না কিংবা বাজার না নিয়েই বাড়ি ফিরছেন। ধীরে ধীরে ভুলে যাওয়ার তালিকা বাড়ছে। আজকাল অনেক পুরনো ঘটনাকে তার মনে হচ্ছে, এক-দুদিন আগের ঘটনা। এ উপসর্গগুলো আসলে অ্যালঝাইমার্স রোগের লক্ষণ।

ইকবাল আহমেদের পুত্রবধু শারমিন সুলতানা ভয়েস অফ আমেরিকা-কে বলেন, “আমরা যখন থেকে বাবার এই ভুলে যাওয়ার সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পারি তখন থেকে দেখেছি, অল্প সময়ের মধ্যে খুব দ্রুতই এটা ছোট বিষয় থেকে হঠাৎ করেই বেশ বড় ব্যাপারে দাঁড়িয়ে গেছে। সে সময়টায় প্রায় প্রতিদিনই তিনি কিছু না কিছু ভুলে যাচ্ছিলেন, বড় অংকের টাকা হারাচ্ছিলেন, বাজার করে বাজার ফেলে রেখেই চলে আসতেন। কোন দোকানে রেখেছেন, আদৌ কিনেছেন কিনা কিছুই মনে করতে পারছিলেন না। প্রতিদিনই এ ধরণের কোন না কোন ঘটনা ঘটছিলো।”

ঢাকার বাসিন্দা নাঈমা মিতার শাশুড়ি এখন আর বেঁচে নেই তবে তার অ্যালঝাইমার্স ছিলো যা তাকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এ রোগের শেষ ধাপে নিয়ে গিয়েছিলো। ভয়েস অফ আমেরিকা-কে নাঈমা জানালেন তার শাশুড়ির কথা। বললেন, "আমার শাশুড়ির ক্ষেত্রে দেখেছি, খুব দ্রুতই স্মৃতিশক্তি চলে যাচ্ছিলো। তার হাত-পা কাঁপতো, পারকিন্সন ছিলো। আস্তে আস্তে চলাফেরাগুলো রেস্ট্রিকটেড হয়ে আসছিলো। আমরা তখন বুঝিনি আসলে আমাদের কী কী করা উচিৎ। এক সময় তিনি অনেক মানুষকে চিনতে পারতেন না। এক্ষেত্রে আসলে যতটা না ওষুধে কাজ করে তারচেয়ে বেশি জরুরী হয়ে পড়ে টেক কেয়ার করাটা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওনার সামনে সারাক্ষণ পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করতাম, পুরোনো কথাগুলো মনে করিয়ে দিতাম, শব্দজট খেলতাম। তারপরও একটা পর্যায়ে শাশুড়ি মায়ের বর্তমান সব স্মৃতি হারিয়ে গিয়েছিলো। তিনি শুধু পুরোনো কথাগুলো মনে করতে পারতেন। তার মনে হতো যে তার ছেলেমেয়েগুলো এখনো সেই ছোট ছোট আছে। তিনি একদম পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলেন।"

অ্যালঝাইমার্স রোগ, এর কারণ ও পরিসংখ্যান

অ্যালঝাইমার্স ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় এক বিশেষ ধরনের সমস্যা, যাকে আমরা স্মৃতিভ্রংশ রোগ বলতে পারি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল-এর নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম আরাফাত আমিন ভয়েস অফ আমেরিকা-কে বলেন, “মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কিংবা বিভিন্ন জায়গায় বেটা অ্যামিলয়েড নামে কিছু রাসায়নিক পদার্থ জমা হয় যার ফলে ধীরে ধীরে কোষগুলো তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ব্যক্তি তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে।”

ভুলে যাওয়া বা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলার রোগটিকে মূলত ডিমেনশিয়া বলা হয়। এর আবার অনেক ধরন রয়েছে যার মধ্যে অ্যালঝাইমার্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এটি দেখা যায়। সাধারণত ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়। তবে বিভিন্ন কারণে এর চেয়ে অল্প বয়সের ব্যক্তিরও এ ধরণের স্মৃতিক্ষয় রোগ দেখা দিতে পারে। ডা. আরাফাত আমিন বলেন, “অল্প বয়সেও অর্থাৎ ৫৫ বছর বয়সের নিচেও যে কোনো ব্যক্তি অ্যালঝাইমার্স-এ আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত জিনগত কারণে এটি হতে পারে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে ApoE4 জিনের কারণে এ রোগটি হতে পারে এবং এই জিনটি যদি পরিবারের অন্যরাও ধারণ করে থাকেন তবে তাদেরও অ্যালঝাইমার্স-এ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই স্মৃতিক্ষয় রোগকে আমরা দু’ভাগে ভাগ করে থাকি। এর একটা হলো প্রতিরোধযোগ্য আরেকটি অপ্রতিরোধযোগ্য। অ্যালঝাইমার্স ডিমনেশিয়া ও এ জাতীয় আরো কিছু ডিমেনশিয়া হলো অপ্রতিরোধযোগ্য অসুখ।”

ডা. আরাফাত জানান যে বাংলাদেশে এখন গড় আয়ু বেড়েছে। ফলে এদেশে এখন অ্যালঝাইমার্স-এর রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ বিষয়ে তেমন কোনো সমীক্ষা বা পরিসংখ্যান ছিলো না। সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে একটি সমীক্ষা চালানো হয় যার পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায় যে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.১ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ প্রায় ১১ লাখ মানুষ অ্যালঝাইমার্স-এ আক্রান্ত। আর এভাবে চলতে থাকলে ২০৪১ সালের ভেতর এ সংখ্যা দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হয়ে যেতে পারে।

অ্যালঝাইমার্স এসোসিয়েশেনের ২০২৩ সালের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এখন আনুমানিক ৬.৭ মিলিয়ন অ্যালঝাইমার্স আক্রান্ত মানুষ রয়েছেন যাদের বয়স ৬৫ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি। আশংকা করা হচ্ছে, অ্যালঝাইমার্স রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময়ের চিকিৎসার অগ্রগতি না হলে ২০৬০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১৩.৮ মিলিয়নে উন্নীত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৯ সাল থেকে অ্যালঝাইমার্স-এ ১,২১,৪৯৯ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে এবং দেশটিতে এই রোগটি মৃত্যুর ষষ্ঠ প্রধান কারণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

অ্যালঝাইমার্স সচেতনতা দিবস

১৯০১ সালে প্রথমবার একজন জার্মান মনোবিদ অ্যালয়েজ অ্যালঝাইমার্স এই রোগটিকে চিহ্নিত করেন, তখন থেকেই এই রোগটিকে তার নাম অনুসারে অ্যালঝাইমার্স রোগ নামে ডাকা হয়ে থাকে। বিগত শতাব্দীতে ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যেই এই রোগ সব থেকে বেশি হতে দেখা যায় । ১৯৮৪ সাল থেকে অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ ইন্টারন্যাশনাল, এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসায় সাহায্য করছে এবং একই সঙ্গে সচেতনতাও তৈরি করছে। ১৯৯৪ সালে সংস্থাটি ২১ সেপ্টেম্বরকে বেছে নেয় বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স দিবস হিসেবে। রোগটি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় অ্যালঝাইমার্স ডে বা বিশ্ব অ্যালঝাইমার্স রোগ দিবস। ২০২৩ সালের এ দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো 'Never too early, never too late'। এবার দ্রুত রোগ নির্ণয় ও ঝুঁকি হ্রাসের উপর জোর দিয়ে দিবসটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। কারণ জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যগত নিয়মকানুন মেনে চলা অ্যালঝাইমার্স রোগের অগ্রগতিকে ধীর করে দিতে পারে।

অ্যালঝাইমার্স-এর লক্ষণ

এ রোগের চারটি পর্যায় আছে বলে জানালেন ডা. আরাফাত। পর্যায়গুলো হলো আর্লি স্টেজ, মিড স্টেজ, লেট স্টেজ এবং এন্ড স্টেজ। শুরুর দিকে রোগীদের দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হতে থাকে। এই প্রতিবেদনের শুরুতে ইকবাল আহমেদের কথা বলা হয়েছে, যার লক্ষণগুলো প্রাথমিক পর্যায়ের সঙ্গে মিলে যায়। এ পর্যায়ে রোগীরা রোজকার কাজের অনেক কিছুই মনে রাখতে পারে না; একটু আগের কর্মকাণ্ড বা ঘটনাবলী মুহূর্তেই ভুলে যান।

ডা. আরাফাত বললেন, “এ রোগ মানুষের মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে সাম্প্রতিক ঘটনা, নাম, চেহারা ভুলে যাওয়া, কখনো অল্প সময়ের মধ্যে একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি, একটি জিনিস যে জায়গায় রাখার কথা ছিল সেখানে না রেখে অন্য জাগায় অর্থাৎ ভুল জায়গায় রাখা এ কাজগুলো রোগী বারবার করতে থাকেন। বারবার এ ধরণের ঘটনা ঘটার ফলে রোগীর মধ্যে এ্যাংজাইটি বা দুশ্চিন্তা তৈরি হতে থাকে।

মিড স্টেজে গিয়ে রোগী তার বিচারবুদ্ধি ও কার্যসক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে থাকেন। অর্থাৎ যে কোনো একটি কাজ কিভাবে সম্পন্ন করবেন সেটা বিবেচনা করবার ক্ষমতা হারিয়ে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে কথা বলবার দক্ষতাও হারিয়ে ফেলেন। যেমন কোনো একটি বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে একটা পর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলেন অথবা কোন শব্দ বা কোন বাক্য বলবেন তা খুঁজে পান না। ধাঁধা, শব্দজট এ ধরণের খেলাগুলো সমাধান করতে পারেন না। পাশাপাশি ঘুমের সমস্যাও শুরু হতে থাকে।

এর পরের পর্যায় বা লেট স্টেজে রোগীর মুভমেন্টে সমস্যা হতে শুরু করে। হাত-পা কাঁপা বা পারকিন্সন দেখা দিতে পারে। এর সাথে বিহেভিয়ার প্রবলেম হওয়া শুরু হয়। হ্যালুসিনেশন, ডিলুশন ডিজঅর্ডার হতে পারে। রোগী ভীষণ অ্যাগ্রেসিভ হয়ে যেতে পারে। অকারণ রাগারাগি, চিৎকার চেঁচামেচি করেন।

একদম শেষ পর্যায় বা লেট স্টেজে রোগী বিছানাবন্দী হয়ে যান, চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মানসিক সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে ওঠে।”

এর কারণ ও ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

রক্তে কোলেস্টেরল ও হোমোসিস্টিনের পরিমাণ বাড়লে অ্যামাইলয়েড বিটা প্রোটিনের উৎপাদন বেশি হয় তখন অ্যালঝাইমার্স-এর লক্ষণ প্রকট হয়। এছাড়া হাইপার-থাইরয়েডিজম, ওবেসিটি ও হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস, দীর্ঘকাল ধরে মানসিক অবসাদ, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ থাকলে অ্যালঝাইমার্স রোগ হতে পারে। বংশে বাবা–মা অথবা ভাই–বোনের মধ্যে অ্যালঝাইমার্স-এর ইতিহাস থাকলে, অতিরিক্ত ধুমপান, মদ্যপান এ রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় বলে জানালেন ডা. আরাফাত। এছাড়া অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এ্যাপনিয়া থাকলেও ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্স রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলে জানালেন তিনি।

অ্যালঝাইমার্স-এর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন হাইপার-থাইরয়েডিজম, ওবেসিটি ও হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এ্যাপনিয়া এগুলোকে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এছাড়া ধুমপান, মদ্যপান না করা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা কার্যকরী। লাল চাল, লাল আটা, সামুদ্রিক মাছ, শিমের দানা ও শিম, বাদাম, সবুজ শাকসবজি খাওয়া ভীষণ প্রয়োজন। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদাম কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া রেড মিট, মিষ্টি জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া উচিৎ। নিয়মিত শরীরচর্চা, মেডিটেশন, ব্রেইন স্টর্মিং হয় এমন কাজ, খেলা এগুলোর চর্চা থাকা প্রয়োজন।

অ্যালঝাইমার্স-এর রোগীর ব্যবস্থাপনায় পরিবারের ভূমিকাই প্রধান

ডা. আরাফাত বলেন, “অ্যালঝাইমার্স-এর রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তার, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্টের পাশাপাশি পরিবারের একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে। আমরা রোগ নির্ণয়ের পর শুরুতেই রোগীর বাড়ির লোককে কাউন্সেলিং করি। রোগের প্রতিটি ধাপে ব্যবস্থাপনা ও পরিবারের লোকের করণীয় নিয়ে তাদের আমরা গাইডলাইন দিয়ে থাকি। নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ রোগীর প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো লিখে রোগীর সাথে সাথে রাখা, যাতে সে মনে করতে পারে কিংবা রাস্তাঘাটে হারিয়ে গেলে বাড়ি ফিরতে পারে সেই ব্যবস্থা করা, রোগী ভায়োলেন্ট হয়ে গেলে তার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন।"

ডা. আরাফাতের মতে, “এখানে Palliative care খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি অনিরাময়যোগ্য রোগ। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগের লক্ষণ কমিয়ে আনা, ধীর গতি করা সম্ভব। একটা মাল্টিডিসিপ্লিন এ্যাপ্রোচ থাকাটা জরুরী। এ রোগের চিকিৎসায় কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে ব্রেইনে জমে থাকা রাসায়নিকগুলোকে কিছুটা অপসারণ করা সম্ভব। এর মাধ্যমে অ্যালঝাইমার্স-এর প্রক্রিয়াটিকে স্লো করা যায়।”

XS
SM
MD
LG