দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় “আরও ঘনিষ্ঠভাবে ঐক্যবদ্ধ হবে”। তিনি এই সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব নেতাদের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে একটি শীর্ষ বৈঠক এবং কয়েকটি হাই প্রোফাইল সামরিক ও প্রযুক্তি স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য রাশিয়া সফর করার পর থেকে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ইউনের কার্যালয় জানিয়েছে, বুধবার জাতিসংঘের বার্ষিক সমাবেশের ভাষণে ইউন রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার পদক্ষেপে তার মূল্যায়ন সম্পর্কে কথা বলবেন। তারা আরও জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছে।
রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার সহযোগিতা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে ইন্ধন দিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, পাশাপাশি এটি দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে। অনেকে মনে করেন অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রযুক্তি রাশিয়াকে হস্তান্তর, উত্তর কোরিয়াকে একটি কার্যকরী স্পাই স্যাটেলাইট, পারমাণবিক সাবমেরিন এবং আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পেতে সাহায্য করবে। কিছু বিশেষজ্ঞ এখনো বলছেন, উত্তর কোরিয়া গোলাবারুদ এবং শেল সরবরাহের বিনিময়ে খাদ্য এবং অর্থ পাবে কারণ রাশিয়া তার হাই টেক অস্ত্র প্রযুক্তিগুলোকে নিবিড়ভাবে রক্ষা করে।
ইউন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, এই বছর প্রতিশ্রুত ১৫ কোটি ডলার ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া পরের বছর ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৩০ কোটি ডলার দেবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ২০০ কোটি ডলারের মধ্য-দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্যাকেজের জন্য প্রস্তুত হবে।