অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানে আমিনির মৃত্যুবার্ষিকীতে বন্দুকধারীদের গুলিতে আধাসামরিক বাহিনীর ১ সদস্য নিহত, ৩ জন আহত


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ছবিতে ইরানের নুরাবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দেখা যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ছবিতে ইরানের নুরাবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দেখা যাচ্ছে।

বন্দুকধারীরা দক্ষিণ ইরানে আধাসামরিক বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, তাদের মধ্যে একজন নিহত এবং অন্য তিনজন আহত হয়। রবিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানায়।

স্থানীয় গণমাধ্যম শনিবারের হামলার কারণ জানায়নি। হামলাটি মাহসা আমিনির (২২) পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভের এক বছর পূর্তিতে হয়। মাহসা আমিনির মৃত্যুর এক বছর পূর্তির সাথে হামলার সম্পর্ক আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।

সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানের প্রায় ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে নওরাবাদ শহরে শনিবার গভীর রাতে আধাসামরিক বাহিনী বাসিজ সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

পৃথক একটি ঘটনায় ইরানের পশ্চিম কুর্দি অঞ্চলের সাক্কেজ শহরের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে একজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। আইআরএনএ বলেছে, সামরিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে একটি এলাকায় প্রবেশ করার পর তাকে গুলি করা হয়েছে। এটি তার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর এক বছর পূর্তিতে তেহরানের পাশাপাশি কুর্দি অঞ্চলে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক মোতায়েন দেখা গেছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, সেখানে সাধারণ ধর্মঘট জারি ছিলো।

আমিনি ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দেশের কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘনের জন্য ইরানের নীতি পুলিশ কর্তৃক রাজধানী তেহরানে আটক হওয়ার পর মারা যান। ইরানে নারীদের জনসমক্ষে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক।

তার মৃত্যুতে দেশের সব অঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের চার দশকের পুরোনো শিয়া ধর্মতন্ত্রকে উৎখাত করার আহ্বান জানানো হয়।অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, কর্তৃপক্ষ ব্যাপক হামলার মাধ্যমে এর প্রতিক্রিয়া জানায়। এতে ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়, এবং ২২ হাজার মানুষকে আটক করা হয়।

XS
SM
MD
LG