উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন শুক্রবার রাশিয়ায় তাঁর আনুষ্ঠানিক সফর অব্যাহত রেখেছেন। তিনি এই সময়ে একটি জঙ্গি বিমান কারখানাও পরিদর্শন করেন। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে এই কারখানার উপর পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
কিম ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বিরল শীর্ষ বৈঠকের ঠিক কয়েকদিন পর এই সফরটি হল, যা পশ্চিমা উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলেছে। এ নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে যে মস্কো ও পিয়ংইয়ং অক্ষশক্তি পুনরুজ্জীবিত হলে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে আরও মজবুত করে তুলতে পারে এবং পিয়ংইয়ং-এর ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে শক্তিশালী করতে পারে।
বুধবারের বৈঠকের সময় কিম ও পুতিন সামরিক নানা বিষয়, ইউক্রেনে যুদ্ধ ও উত্তর কোরিয়ার উপগ্রহ কর্মসূচিকে রাশিয়া কীভাবে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ওই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সমন্বয় কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে লঙ্ঘন করেছে এবং এর মূল্য পরিশোধ করতে হবে। মিত্রশক্তিরা তা নিশ্চিত করবে।
তবে, তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি, যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশীয় মিত্ররা রাশিয়া বা উত্তর কোরিয়ার ওপরে কী ধরণের প্রভাব ফেলবে। উভয় দেশেরই চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
রাশিয়া কিমের এই সফরকে প্রচার করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা বিষয়ে বারবার ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের মদতে গঠিত হয়েছিল উত্তর কোরিয়া।