সোমবার ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন, তিনি হাইতিয়ানদের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছেন এবং তিনি তাদের সর্বসাম্প্রতিক বিরোধের জন্য দুই প্রতিবেশীর মধ্যে স্থল, বিমান এবং সমুদ্র যোগাযোগ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদারের পদক্ষেপ হাইতির একটি খালের সাম্প্রতিক খননের পর নেয়া হয়। ডোমিনিকান কর্মকর্তারা বলেন, এই খননের ফলে ম্যাসাকার নদী থেকে পানি সরানো হবে এবং এর কৃষক ও পরিবেশের ক্ষতি হবে।
ডোমিনিকান সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, "যদি বৃহস্পতিবারের আগে সংঘর্ষের সমাধান না করা হয়, (কর্মকর্তারা) আকাশ, সমুদ্র এবং স্থল বাণিজ্যের জন্য সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেবেন।"
এটি হাইতির জন্য একটি অর্থনৈতিক ধাক্কা হবে। হাইতি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে তার বেশিরভাগ আমদানি করে থাকে। সেখানে মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী হয়েছে এবং গ্যাং সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যে দারিদ্র্য আরও গভীর হয়েছে।
এটি ডোমিনিকান ব্যবসাগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ডোমিনিকান রিপাবলিকের সেন্ট্রাল ব্যাংকের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে হিস্পানিওলা দ্বীপ ভাগ করে নেয়া দুই দেশের মধ্যে ৪৩ কোটি ডলারের অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত বাণিজ্য হয়েছিল। এই অর্থের মধ্যে ৩৩ কোটি ডলারের বেশি হাইতিতে রপ্তানির প্রতিনিধিত্ব করে।
শেষবার হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ২০২১ সালের জুলাই মাসে ডোমিনিকান রিপাবলিক হাইতির সাথে সীমানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপর থেকে নিরাপত্তার কারণে এটি মাঝে মাঝে সীমান্তের কিছু অংশ বন্ধ করে।