জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান সোমবার বলেছেন, তিনি উদ্বিগ্ন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক কর্মসূচির জবাবদিহিতে আগ্রহ হারাচ্ছে।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের পর এই মন্তব্য করা হয়। গত মাসে বন্দী বিনিময়ের ঘোষণা দেয় এই দুটি দেশ।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এএফপির কাছে প্রকাশিত গোপন প্রতিবেদনে বলেছে, বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের “কোনো অগ্রগতি” নেই।
এর মধ্যে রয়েছে তেহরানের তার পারমাণবিক স্থাপনা থেকে সরিয়ে নেওয়া আইএইএ মনিটরিং ক্যামেরা পুনরায় ইনস্টল করা এবং ইরানে পাওয়া ইউরেনিয়াম কণার উপস্থিতি ব্যাখ্যা করা।
আইএইএ'র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি সোমবার বলেছেন, তিনি আইএইএ সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে “আগ্রহের ঘাটতি” লক্ষ্য করেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আইএইএ'র সঙ্গে সহযোগিতার অভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তথাকথিত ই-থ্রি গ্রুপ ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের এ সপ্তাহে ইরানকে নিন্দা জানানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
২০১৫ সালে, বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলো ইরানের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল, যার অধীনে তেহরান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির বিনিময়ে তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ফলস্বরুপ তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি জোরদার করে। যদিও তারা বরাবর এটি অস্বীকার করে এসেছে।