সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমের গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গোকে উৎখাত করার পর ৩ দিন দেশটির সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল। শনিবার আবারো সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার জেনারেল ব্রিস ওলিগুই এনগুইমার নেতৃত্বে সামরিক কর্মকর্তারা ক্ষমতা দখল করে নেন। কর্মকর্তারা বঙ্গোকে নিজ বাসভবনে আটক করে রাখেন এবং রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এনগুইমার নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে, বঙ্গো পরিবারের ৫৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
এটি গত ৩ বছরের মধ্যে এই মহাদেশের নবম অভ্যুত্থানের ঘটনা, যা এই অঞ্চলে সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়া সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এসব ঘটনায় গত ২ দশকে আফ্রিকার গণতান্ত্রিক উন্নয়ন বিলীন হবার উপক্রম হয়।
বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়তে থাকলেও তারা শুক্রবার রাতে জানান, তাড়াহুড়ো করে তারা নির্বাচন দেবেন না।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জাতীয় টেলিভিশনে বলেন, স্থল, সমুদ্র ও আকাশ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে কারণ জান্তা “আইনের শাসনের প্রতি সম্মান এবং প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্বের অন্যান্য সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন” এবং তারা দেশটির “আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা” রক্ষা করতে চান।
২০০৯ সালে প্রয়াত পিতা ওমরের উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত হন আলি বঙ্গো। ওমর ১৯৬৭ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। প্রতিপক্ষরা বলেন, গ্যাবনের তেল ও খননকার্য থেকে পাওয়া সম্পদ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য এই পরিবারটি তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
গ্যাবনের অভ্যুত্থানের আগে গিনি, চাদ ও নিজারেও অভ্যুত্থান হয়েছে। এছাড়াও মালি ও বুরকিনা ফাসোতে ২ বার করে অভ্যুত্থান হয়। ২০২০ সাল থেকে এই অভ্যুত্থানের ঘটনাগুলোর সূত্রপাত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে কৌশলগত স্বার্থ বা অংশীদারিত্ব আছে এমন আন্তর্জাতিক শক্তিদের উদ্বেগের কারণ হয়েছে।