একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ সংক্রান্ত উদ্যোগে সহায়তা করেছেন এমন মানুষদের জন্য চালু করা একটি পুনর্বাসন প্রকল্পে আবেদনকারী ৮ লাখ ৪০ হাজার আফগান নাগরিক এখনো আফগানিস্তানে অপেক্ষমান। দুই দশকের বেশি সময়ের সংঘাতে, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সহায়তার লক্ষ্যে চালু হওয়া উদ্যোগটির নানা সমস্যার কথা উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মহাপরিদর্শক বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে, আফগানদের জন্য বিশেষ অভিবাসী ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া উন্নয়নে তার অধিদপ্তর কী ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। দুই বছর পার হয়ে গেছে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তালিবান আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। এত দিন পরও সমস্যাগুলো দূর হয়নি।
বড় আকারের ঝুঁকি নিয়ে, আমেরিকানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যেসব আফগান নাগরিক কাজ করেছেন, তাদের সহায়তা করতে, ২০০৯ সালে এই ভিসা প্রকল্প চালু করা হয়। ইরাকীদের জন্যেও একই ধরনের প্রকল্প রয়েছে। উভয় প্রকল্পই, ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতির বলে সমালোচিত হয়েছে। এই ধীরগতির প্রক্রিয়ার কারণে, আবেদনকারীরা এক ধরনের বিপদ জনক অচলাবস্থার শিকার হন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রাক্কলন অনুযায়ী, এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত, এই বিশেষ ভিসা প্রকল্পে আবেদনকারী ৮ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি আফগান নাগরিক ও তাদের পরিবারের সদস্য এখনো আফগানিস্তানে অবস্থান করছেন।
আবেদন করলেই তা গ্রহণ করা হয় না। পররাষ্ট্র মন্ত্রক উল্লেখ করেছে, আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেখা যায়, ৫০ শতাংশের বেশি আবেদনকারী এই প্রকল্পে অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য নন। যাচাই-বাছাই পক্রিয়ার শুরুতেই তারা অযোগ্য বলে বিবেচিত হন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, পররাষ্ট্র দপ্তর আবেদনপত্র নিয়ে কাজ করার জন্য বাড়তি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। তারা, আবেদনকারীদের কাজ সংক্রান্ত দাবি যাচাইয়ের জন্য পেন্টাগনের সঙ্গে সমন্বয় করেছে এবং আবেদনের কিছু ধাপ বাদ দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর পরও, এ বিষয়ে আরো পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশেষ অভিবাসী ভিসা প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ বারবার খালি হচ্ছে এবং কেউ বেশিদিন এ পদে থিতু হতে পারছেন না।