অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আরো ড্রোন হামলার খবর দিয়েছে রাশিয়া


প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি-র এই স্যাটেলাইট ছবিতে রাশিয়ার প্রিন্সেস ওলগা পস্কোভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেখা যাচ্ছে; ৩১ আগস্ট ২০২৩।
প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি-র এই স্যাটেলাইট ছবিতে রাশিয়ার প্রিন্সেস ওলগা পস্কোভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেখা যাচ্ছে; ৩১ আগস্ট ২০২৩।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি এলাকার দিকে অগ্রসরমান বেশ কয়েকটি ড্রোনকে ধ্বংস করেছে। তবে, স্যাটেলাইট চিত্রগুলো দেখে মনে হচ্ছে, সপ্তাহের শুরুতে, একটি রুশ বিমান ঘাঁটিতে বড় ধরণের ড্রোন হামলায়, কমপক্ষে দুটি ইলিউশিন আইএল- সেভেন্টি সিক্স সামরিক পরিবহন বিমান ধ্বংস হয়েছে।

আঞ্চলিক গভর্নররা জানিয়েছেন, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কুরস্ক বেলগোরদ ও মস্কো অঞ্চলে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। রুশ কর্তৃপক্ষের মতে, মস্কোর বিমানবন্দরগুলো অল্প সময়ের জন্য ফ্লাইট বন্ধ রাখে, তবে কোনো বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে ড্রোন। আর এঘটনার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করছে মস্কো। এটা এখন প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধের ১৯তম মাস চলছে; আর, কিয়েভের বাহিনী পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া, সম্প্রতি রাশিয়ার অনেক ভেতরের এলাকায় ড্রোন হামলা পরিচালনা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের আপাত কৌশল হলো রাশিয়াকে স্নায়ুচাপে রাখা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা। মঙ্গলবার রাতে প্রাথমিকভাবে পস্কোভ বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা হয়। মেঘের আবরণ থাকায় স্যাটেলাইটগুলো তখন স্পষ্ট ছবি পায়নি।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন, তার দেশ এমন একটি অস্ত্র তৈরি করেছে, যা ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই বক্তব্যে তিনি দৃশ্যত রুশ বিমান ঘাঁটিতে হামলার কথা উল্লেখ করেছেন। ইউক্রেনের কৌশলগত শিল্প মন্ত্রক এ অস্ত্র উৎপাদন করেছে বলে উল্লেখ করেন জেলেন্সকি; তবে এ বিষয়ে আর বিশদ কিছু বলেননি।

ক্রেমলিনের বাহিনী এই যুদ্ধে গত এক বছর ধরে ইরানের তৈরি বিস্ফোরক ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

XS
SM
MD
LG