সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ বলেছেন, চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আল-শাবাবের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না।
শনিবার কাউওয়েইন গ্রামে সৈন্যদের উপর আল-শাবাবের একটি মারাত্মক হামলার পর সরকারী সৈন্যরা কয়েকটি শহর থেকে পিছু হটার একদিন পর মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
তিনি সরকারী সৈন্যদের প্রশংসা করেছেন, যারা গত বছর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে জঙ্গিদের উচ্ছেদ করেছে, এবং যেসব সৈন্য এবং স্থানীয় যোদ্ধারা অপারেশনে অংশ নিয়েছিল, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "আল-শাবাব আজ দুর্বল, সংখ্যায় কম। অন্যদিকে, আমরা আরও অভিজ্ঞ, সংখ্যায় আরও বেশি, আরও ভালভাবে সজ্জিত, আরও উত্সাহিত এবং বিজয় আমাদের হাতের মুঠোয়।"
কাউওয়েইন হামলায় তাদের ১৭৮ জন সেনা নিহত হয়েছে, এমন দাবি অস্বীকার করে মোহামুদ বলেন, উপরন্তু আল-শাবাবের যোদ্ধারা সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে এবং তাদের গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দলটি তাদের ১৯০ জন যোদ্ধাকে হারিয়েছে এবং নিহতদের গণকবরে পুঁতে রেখেছে।
তবে, উভয় পক্ষের হতাহতের এই দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী কাউওয়েইনের উপর হামলাকে তাদের একটি "ঐতিহাসিক বিজয়" বলে দাবি করেছে।
হামলার ফলে, সরকারী বাহিনী চারটি শহর থেকে পিছু হটেছে, যেগুলো আল-শাবাব মঙ্গলবার পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে।
সোমালিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট শরীফ শেখ আহমেদ কাউওয়েইন ফ্রন্টলাইনে সামরিক অভিযান কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি হামলার তদন্তের জন্য আধা-সামরিক বিষয়ক সংসদীয় উপকমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
মোহামুদ তার মন্তব্যে, "ভুল" শুধরে নেয়ার এবং জবাবদিহিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, "এখন সময় সৈন্যদের মধ্যে বীরদের পুরস্কৃত করার; এবং যারা তাদের দায়িত্বের অপব্যবহার করছে, রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছে বা সেনাবাহিনীকে দায়বদ্ধ করছে তাদের বিচারের আওতায় আনার।"
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন একজন সৈনিক, একজন অফিসার বা অন্য যে কারো ভুল সংশোধন করা হবে।