সিউল, ওয়াশিংটন ও টোকিওর যৌথ নৌ মহড়া চলার সময় কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশটির জলসীমা “পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিতে” পরিপুর্ণ।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, চলতি মাসে ক্যাম্প ডেভিড শীর্ষ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের “গ্যাং কর্তাদের” মধ্যে ক্রমবর্ধমান ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার সমালোচনা করেছেন কিম। তিনি বলেন, তারা সম্প্রতি একে অপরের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন।
কেসিএনএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌথ নৌ মহড়া পরিচালনা এবং কোরীয় উপদ্বীপের আশেপাশের জলসীমায় স্থায়ীভাবে পারমাণবিক কৌশলগত সম্পদ মোতায়েনের মাধ্যমে ওয়াশিংটন “আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি উন্মত্ত” বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কিম আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য শত্রু শক্তির বেপরোয়া সংঘাতমূলক পদক্ষেপের কারণে কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমা বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধ পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি সম্পন্ন অস্থিতিশীল এলাকা হয়ে উঠছে।
“শত্রুদের সাম্প্রতিক আগ্রাসী প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে নৌবাহিনীর দ্রুত বিকাশে সাফল্য অর্জন করা একটি অত্যন্ত জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে” বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যদিও কিম স্বীকার করেছেন, উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনী "অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং যুদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত ছিল না। তবে এটি দেশের উচ্চ অর্থায়নে পরিচালিত সেনাবাহিনীর চেয়ে "আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে” সক্ষম হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার “কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র অভিযান সম্প্রসারণের” নীতির অংশ হিসেবে নৌবাহিনীকে নতুন অস্ত্র দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।