ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০ সদস্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে জোটের শীর্ষ সম্মেলনের আগে তার দেশকে সরবরাহ শৃঙ্খল সমস্যার সমাধান হিসাবে তুলে ধরেছেন।
১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিয়ে ২০ টি প্রধান অর্থনীতির এই গ্রুপ গঠিত, যা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে । বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশই এর অংশ হলেও দক্ষিণ আফ্রিকাই কেবল আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র সদস্য।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, তিনি চান আফ্রিকান ইউনিয়ন “জি-২০”র স্থায়ী সদস্য হিসেবে যোগ দিক।
রবিবার জি-২০-র বর্তমান আয়োজক মোদি প্যান-আফ্রিকান ব্লককে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। সম্মিলিতভাবে গত বছর যার জিডিপি ছিল ৩ ট্রিলিয়ন ডলার।
৯-১০ সেপ্টেম্বর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে বিজনেস ফোরাম বি-২০-তে মোদি বলেন, “আমরা আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।“
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় সদর দফতর অবস্থিত এইউতে ৫৫ সদস্য থাকলেও জান্তা শাসিত পাঁচটি দেশের সদস্যপদ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার পর ভারতই ছিল “কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল” তৈরির “সমাধান”। পাশাপাশি নয়াদিল্লি চীনের সঙ্গে উৎপাদন খাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যেও কাজ করেছে।
মোদি আরও বলেন, 'কোভিড ১৯-এর আগে এবং পরে বিশ্ব অনেক বদলে গেছে। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল আগের অবস্থায় নেই।“
ভারতই কার্যকর সমাধান বলে দাবি করেন তিনি।
২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য এবং কমপক্ষে চারজন চীনা সৈন্য নিহত হওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি বিরল বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছেন। বেইজিং বলেছে, তারা তাদের বিতর্কিত সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য "স্পষ্ট এবং গভীর" আলোচনা করেছেন।