অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান সতর্ক করেছেন, সুদানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে


২০২৩ সালের ২২ আগস্ট এক্স প্ল্যাটফর্মে (পূর্ববর্তী টুইটার)-এ পোস্ট করা একটি ইউজিসি ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে, সুদানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স যোদ্ধাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। তারা এটিকে খার্তুমে আল-শাজারা সামরিক ঘাঁটি বলে অভিহিত করে। (ছবি- ইউজিসি/এএফপি)
২০২৩ সালের ২২ আগস্ট এক্স প্ল্যাটফর্মে (পূর্ববর্তী টুইটার)-এ পোস্ট করা একটি ইউজিসি ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে, সুদানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স যোদ্ধাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। তারা এটিকে খার্তুমে আল-শাজারা সামরিক ঘাঁটি বলে অভিহিত করে। (ছবি- ইউজিসি/এএফপি)

শুক্রবার জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান বলেছেন, সুদানে সংঘাত এবং এর ফলে যে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা সমগ্র দেশকে গ্রাস করার হুমকি দিচ্ছে।

শুক্রবার জারি করা এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয়ের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে রাজধানী শহর জুবা, খার্তুম এবং দারফুরকে ধ্বংসকারী সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে তীব্র লড়াই দক্ষিণ-পূর্বে কর্ডোফান রাজ্য পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

গ্রিফিথের সতর্কবার্তাটি আসে এমন সময়ে যখন সুদানের সেনাপ্রধান জেলারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানকে চার মাসের বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার খার্তুমে সেনা কমান্ড কম্পাউন্ডের বাইরে দেখা গিয়েছিল।

সেনাবাহিনী ১৫ এপ্রিল থেকে রাজধানী এবং বেশ কয়েকটি বড় শহর নিয়ন্ত্রণের জন্য আধা-সামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ-এর সাথে লড়াই করছে। মধ্যস্থতার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কূটনীতিকরা বলছেন, উভয় পক্ষই জয়ী হতে পারে বলে দাবি করছে।

যুদ্ধে কোনো পক্ষই সুবিধা পায়নি। যুদ্ধে বেসামরিক হতাহতের ব্যাপক ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই যুদ্ধ ৪৫ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

যুদ্ধ ইতোমধ্যে একটি মানবিক সংকট তৈরি করেছে। এর ফলে হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে এবং খাদ্য সংকটের সাথে সাথে বিদ্যুৎ ও জল বিভ্রাট ঘটছে। এখন বর্ষাকাল চলছে। তাই পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।



XS
SM
MD
LG