শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান এবং ফিলিপিনো সেনারা দক্ষিণ চীন সাগরের জলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অনুশীলন চালায়। ওই অঞ্চলকে চীন নিজেদের বলে দাবি করে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস এটিকে তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার একটি “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ” উদাহরণ হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
চীন দক্ষিণ চীন সাগরে শৈল শিখরে টহল এবং সামরিকীকরণের জন্য শত শত উপকূলরক্ষী, নৌবাহিনী এবং অন্যান্য জাহাজ মোতায়েন করেছে। সেখানে চীনের অবস্থানের আইনি কোনো ভিত্তি নেই- এমন একটি আন্তর্জাতিক রায় সত্ত্বেও চীন প্রায় সম্পূর্ণরূপে ওই এলাকা দাবি করে।
শুক্রবারের যৌথ মহড়া স্কারবোরো শোল থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার পূর্বে একটি নৌ ঘাঁটিতে সংঘটিত হয়েছিল। এটি একটি সমৃদ্ধ মাছ ধরার অঞ্চল। চীন ২০১২ সালে একটি উত্তেজনাপূর্ণ অচলাবস্থার পরে ফিলিপাইনের কাছ থেকে এই অঞ্চল দখল করে।
আকাশ, সমুদ্র এবং স্থল মহড়া- দুই দেশের প্রথম বৃহৎ যৌথ মহড়া। শত্রু নিয়ন্ত্রিত দ্বীপ পুনরুদ্ধারের অনুকরণে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ১২০০ জন অস্ট্রেলীয় সৈন্য এবং ৫৬০ জন ফিলিপিনো মেরিন মহড়ার সময় সমুদ্র সৈকতে আক্রমণ করেছিল। তারা উভচর হামলার যানবাহনে, প্যারাস্যুট নিয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অসপ্রে বিমানে চড়ে পৌঁছেছিল।
দুটি উন্নত অস্ট্রেলিয়ান এফ থার্টি ফাইভ ফাইটার জেট নিবিড় ভাবে বিমান সহায়তা প্রদান করে এবং অস্ট্রেলিয়ান যুদ্ধজাহাজ আশেপাশের জলসীমা সুরক্ষিৎ করে।
চীনের উপকূলরক্ষী জাহাজগুলোর জলকামান ছোঁড়ার এবং দক্ষিণ চীনে সাগরে দ্বিতীয় টমাস শোল-এ ফিলিপাইনের পুনঃসরবরাহ মিশনকে ৫ আগস্ট অবরুদ্ধ করার পরে এই সপ্তাহের অনুশীলনগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
ফিলিপাইন এই সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে আচরণবিধি নিয়ে আলোচনার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশ এবং চীনে অ্যাসোসিয়েশনের সহকর্মী সদস্যদের সাথে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে।