ভাড়াটে সৈন্যের দল ওয়াগনারের নেতা ইয়েভজিন প্রিগোজিন এই বছরের শুরুতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সংক্ষিপ্ত সশস্ত্র বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বুধবার মস্কোর উত্তরে বিধ্বস্ত একটি বিমানে তিনি ছিলেন। রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার মতে, বিমানটিতে থাকা ১০ জনের সকলেই নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে সন্দেহ জাগায়; ওয়াগনার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বিদ্রোহ শুরু করার পর থেকেই তার ভাগ্য নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছিল।
সেই সময় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিদ্রোহের নিন্দা জানিয়েছিলেন এবং এর প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ শীঘ্রই বাদ দেয়া হয়। ওয়াগনার প্রধানকে বেলারুশে পশ্চাদপসরণ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তিনি মাঝে মাঝে রাশিয়ায় উপস্থিত হতেন। ওয়াগনার রাশিয়ার জন্য সেরা যুদ্ধ বাহিনী ছিল।
প্রিগোজিনের সাথে যুক্ত শীর্ষ একজন জেনারেলকে বিমান বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে- রাশিয়ার গণমাধ্যম এমন প্রতিবেদন করার পরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে ইউক্রেনের আংশিক দখলকৃত জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগভ বলেন, তিনি ওয়াগনার কমান্ডারদের সাথে কথা বলেছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন, প্রিগোজিন বিমানে ছিলেন, দ্যমিত্রি উটকিনও ওই বিমানে ছিলেন। দ্যমিত্রিকে চিহ্নিত করা হয় ওয়াগনার নামে যা ওয়াগনার কোম্পানির নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিদ্রোহের পর প্রিগোজিন এই সপ্তাহে তার প্রথম নিয়োগ ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেন ওয়াগনার পুনরুদ্ধার এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং “সকল মহাদেশে রাশিয়াকে আরও বড় করে তুলছে এবং আফ্রিকাকে আরও মুক্ত করে তুলছে।”
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সময় পুতিন কুরস্কের যুদ্ধের স্মরণে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের নায়কদের প্রশংসা করেন।