যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার একটি প্রদেশে তীব্র অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংকটে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তীব্রতর হয়েছে। ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা বুধবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির স্থানীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়।
বিরোধী সক্রিয়বাদীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা দ্রুজ- সংখ্যাগরিষ্ঠ সুইদা প্রদেশের সঙ্গে রাজধানী দামেস্কের সংযোগকারী একটি মহাসড়কও আংশিক ভাবে অবরুদ্ধ করে রাখে।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারি খাতের মজুরি ও পেনশন দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জীবনযাত্রার অবস্থার অবনতি এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।
সরকারের শক্ত ঘাঁটি ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল, রাজধানী দামেস্ক এবং আলেপ্পো ও হোমসসহ বৃহত্তম শহরগুলোতে এখনও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েনি।
তবে জর্ডানের সীমান্তবর্তী দারা প্রদেশেও এসব ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে সরকারী বাহিনী এটি পুনরুদ্ধার করার পর থেকে এই অঞ্চলের অর্থনীতির অবনতি হয়েছে এবং অপরাধ বেড়েছে।
সিরিয়ার সরকার এই বিক্ষোভে সাড়া দেয়নি।
যুদ্ধাপরাধ ও অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততার অভিযোগে বছরের পর বছর ধরে সংঘাত, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা এবং পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দেশটির অর্থনীতি লড়াই করছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
সুইদা প্রদেশ, দেশটির দ্রুজ সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল। গত ১৩ বছর ধরে তারা বেশিরভাগই সিরিয়ার সংঘাত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল।
স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্ট মিডিয়া কালেক্টিভ সুওয়াইদা ২৪-এর এডিটর-ইন-চিফ রায়ান মারুফ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, "এক সময় বেশিরভাগ মানুষ নিরপেক্ষ বা অনিশ্চিত ছিল, কিন্তু এখন তারা রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া তাদের জীবনের উন্নতি হতে পারে বলে আর বিশ্বাস করে না।“