এই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় একটি শীর্ষ সম্মেলনে, উন্নয়নশীল বিশ্বে আরো দৃঢ় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান অর্জনের দিকে নজর দেবে রাশিয়া এবং চীন। উভয় দেশ সেখানে যৌথভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরেুদ্ধে অনুমেয় সমালোচনায় মুখর হবে। আর, এর প্রভাবে সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে আরো কাছে টানার পদক্ষেপ জোরদার হতে পারে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক ব্লক ব্রিকস। দেশগুলোর নেতারা জোহানেসবার্গের বাণিজ্যিক এলাকা স্যান্ডটন-এ তিন দিনের বৈঠকে মিলিত হবেন। স্যান্ডটন-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং-এর উপস্থিতি এই গুরুত্ব প্রকাশ করে যে, গত দশক ধরে এই ব্লকে চীন কূটনৈতিক পুঁজি বিনিয়োগ করেছে; আর এটা তাদের উচ্চাকাঙ্খার জন্য একটা মহাসড়কের মতো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে যোগ দেবেন ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে। ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায়, পুতিনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফর জটিল হয়ে উঠে। শীর্ষ সম্মেলনে শি-র সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিতিল রামাফোসা।
মূল শীর্ষ সম্মেলনের আগে, জুন মাসে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে; তবে, যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া বা পুতিনের প্রকাশ্য সমালোচনা হবে না।
তখন, সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রকাশ্য সমালোচনা হবে স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারের বাইরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অধিকার গোষ্ঠী এবং ইউক্রেনিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ আফ্রিকার পরিকল্পিত বিক্ষোভ।
আর যা হতে পারে; তা হলো, রাশিয়া এই শীর্ষ সম্মেলনকে, কিছু সুবিধা পাওয়ার একটা সুযোগ হিসেবে দেখতে পারে।