বিশ্লেষকরা বলছেন, গত মাসে নিজারে সৈন্যরা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটিতে গণতান্ত্রিক শাসন পুনরুদ্ধার করার বিকল্প এবং সময় ফুরিয়ে যাওয়ায় আঞ্চলিক দেশগুলো বৈধতার সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লক ইকোওয়াসের প্রধানরা নিজারের সংকট নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৃহস্পতিবার ঘানায় বৈঠক করছেন। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজউমকে মুক্তি এবং পুনর্বহাল করার জন্য নয়তো সামরিক হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হওয়ার জন্য বিদ্রোহী সেনাদেরকে বেঁধে দেয়া একটি সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরে এই বৈঠক শুরু হয়। বাজউমকে জুলাইয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং রাজধানী নিয়ামিতে তার স্ত্রী-সন্তানসহ গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
দেশে সাংবিধানিক শাসন পুনরুদ্ধার করতে গত সপ্তাহে একটি “স্ট্যান্ডবাই ফোর্স” মোতায়েনের নির্দেশ দেয়ার পর এটিই প্রথম বৈঠক। সৈন্যরা কখন হস্তক্ষেপ করবে তা স্পষ্ট নয়। সংঘাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাইজেরিয়া, আইভরি কোস্ট, সেনেগাল এবং বেনিন থেকে কয়েক হাজার সৈন্য নিয়ে সম্ভবৎ একটি বাহিনী গঠিত হচ্ছে। এটি প্রস্তুত হতে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলো নিজারে কয়েক মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদান করেছে। নিজারকে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে সাহেল অঞ্চলের সর্বশেষ গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে একটি যেটি কিনা ওই অঞ্চলে আল-কায়েদা এবং ইসলামি স্টেট গ্রুপের সাথে সম্পর্কিত ক্রমবর্ধমান জিহাদি বিদ্রোহকে পরাস্ত করতে অংশীদার হতে পারে, তেমন একটি দেশ হিসেবে হিসেবে দেখা হয়েছিল। দেশটিতে ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার কর্মী রয়েছে। তারা সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতো এবং ফ্রান্সের ক্ষেত্রে তারা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে উভয় দেশই সামরিক অভিযান স্থগিত করেছে। সাহেল বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে হামলা বৃদ্ধি পাবে।