ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী একটি শিয়া মুসলিম মাজারে দুজন ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় একজন বন্দুকধারীকে আটক করার পর আটজন বিদেশী সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে।
ইরানের দক্ষিণে ফারস প্রদেশের রাজধানী শিরাজের শাহ চেরাঘের মাজারে হামলা এমন এক সময়ে হয়েছে, যার এক বছরেরও কম সময় আগে ইসলামিক স্টেট একই জায়গায় আরেকটি হামলা করেছিল।
রবিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এতে একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন।
হামলার পরপরই রবিবার রাতে প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদমাধ্যম মিজান তাকে তাজিকিস্তানের রহমাতুল্লাহ নওরোজফ বলে শনাক্ত করেন।
বুলেটের আঘাতে জানালাগুলো ভেঙে পড়ে যায় এবং গুলির পর খিলান ও কলোনেড কমপ্লেক্সের একটি উঠানের মাটিতে রক্তের দাগ বসে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে ফার্স প্রাদেশিক গভর্নর মোহাম্মদ হাদি ইমানিয়েহ আইএস চরমপন্থীদের দায়ী করেছেন।
তিনি রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেন, আততায়ী গত বছর মাজারে গুলি চালানো “দুজন সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিশোধ নিতে” এ কাজ করেন।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি এলাকাটি পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই ‘সন্ত্রাসী’ ইরানের বাইরে একটি “নেটওয়ার্ক অপারেটিং”-এর সাথে সহযোগিতা করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরাক, রাশিয়া এবং ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ রবিবারের গুলিবর্ষণের নিন্দা করেছে এবং শোক প্রকাশ করেছে।