মঙ্গলবার লিবিয়ার রাজধানীর সশস্ত্র দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি দল শহরের বিভিন্ন অংশে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে বেসামরিক ব্যক্তিরা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে আটকা পড়েছেন এবং এ বছরে ত্রিপোলির সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংস ঘটনাগুলো আরও তীব্রতা পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংঘাতে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট একটি মেডিকেল ইউনিট বলছে, তারা ফুরনাজ, আইন জারা ও তারিক শক জেলা থেকে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক আহতদের চিকিৎসায় নাগরিকদের রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স সেবার মুখপাত্র উসামা আলি জানান, ১৯ ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং একটি সংঘাতপূর্ণ জেলা থেকে ২৬টি পরিবারকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ত্রিপোলিতে অবস্থিত রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, শহরের বিভিন্ন অংশের ওপর কালো ধোঁয়া দেখা গেছে এবং সড়কগুলোতে ভারী অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা গেছে। শহরের বাসিন্দা ও স্থানীয় গণমাধ্যম দিনের বেলায় বিভিন্ন মহল্লায় সংঘাতের তথ্য দিয়েছেন।
লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি যত দ্রুত সম্ভব এই সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।
৪৪৪তম ব্রিগেড ও স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্সের মধ্যে সংঘাতে বেশ কয়েক মাস পর ত্রিপোলির শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বদলে গেছে। উল্লেখিত ২ দল গত বছরের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের সময় অন্তর্বর্তীকালীন ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারকে (জিএনইউ) সমর্থন দিয়েছিল।
২০১১ সালে নেটোর পৃষ্ঠপোষকতা বিপ্লবের পর থেকে লিবিয়ায় শান্তি বা নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। ২০১৪ সাল থেকে দেশটির পূর্ব ও পশ্চিম অংশের সশস্ত্র দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে।
সোমবার রাজধানীর মিতিগা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকারী স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্স ভ্রমণে উদ্যত ৪৪৪ ব্রিগেডের কমান্ডার মাহমুদ হামজাকে বিমানবন্দর থেকে আটক করে। ব্রিগেডের একটি উৎস এ তথ্য জানিয়েছে।
পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় উভয় দল রাজধানীতে সেনা মোতায়েন করে এবং সন্ধ্যায় যুদ্ধ শুরু হয়।