যেসব রোগী ওজন কমানোর জন্য ওয়েগোভি বা ওজেম্পিকের মতো ওষুধ সেবন করেন তাদের যদি অস্ত্রোপচার বা অ্যানেস্থেশিয়ার জন্য খালি পেটে থাকতে হয়, তাহলে তারা জীবননাশের হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এক সপ্তাহ পর্যন্ত ওষুধ বন্ধ রাখার যে নির্দেশিকা তা সেক্ষেত্রে যথেষ্ট নাও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কিছু অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট বলেন, তারা ওজন কমানোর ওষুধের ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগী দেখছেন যারা অচেতন অবস্থায় থাকার সময় তাদের ফুসফুসে খাবার এবং তরল ঢুকে যায় কারণ তাদের পেটে তখনও খাবার ছিল- এমনকি ছয় থেকে আট ঘণ্টা আগে খাবার গ্রহণ বন্ধ করার নির্দেশাবলী অনুসরণ করার পরেও।
বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের একজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডঃ ইয়ন হোবাই বলেন, ওষুধগুলো হজম প্রক্রিয়াকে এতটাই ধীর করে দিতে পারে যে এটি রোগীদের পালমোনারি অ্যাসপিরেশনের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি ফুসফুসের ক্ষতি, সংক্রমণ এবং এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আমেরিকান সোসাইটি অফ অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডাক্তারদের পরামর্শ দেয়, যে সকল রোগী ওষুধ সেবন বন্ধ করেনি, তাদের চিকিৎসা করার জন্য সম্ভব হলে বিভিন্ন ধরনের নিরাময় প্রোটোকল বা বিলম্ব পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। জোন্স আরও বলেন, ডাক্তার এবং রোগীদের নির্দেশিকা আপডেট করার জন্য গবেষণা জরুরিভাবে প্রয়োজন।
নভো নরডিস্ক ওজেম্পিক, ওয়েগোভি এবং অনুরূপ ওষুধ তৈরি করে। তারা বলেছে, ফার্মের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং বিপণন-পরবর্তী নিরাপত্তা ডেটা দেখায় না যে ওষুধগুলোর ফলে এস্পিরেশন ঘটে। কিন্তু ওষুধ প্রস্তুতকারক উল্লেখ করেছেন, ওষুধগুলো দেরিতে খিদে লাগার কারণ হিসেবে পরিচিত এবং ওষুধের লেবেলে সম্ভাব্য গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক করে।