অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর তদন্তে ফ্রান্স


ডোভারের কাছে ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবির পর উদ্ধারকর্মীরা অভিবাসীদের পাড়ে তুলে আনছেন। ১২ আগস্ট, ২০২৩। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত। (স্টুয়ার্ট ব্রক/ রয়টার্স মারফত)
ডোভারের কাছে ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবির পর উদ্ধারকর্মীরা অভিবাসীদের পাড়ে তুলে আনছেন। ১২ আগস্ট, ২০২৩। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত। (স্টুয়ার্ট ব্রক/ রয়টার্স মারফত)

প্যারিসের প্রসিকিউটররা রবিবার অন্তত ছয় অভিবাসীর মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন, যাদের নৌকা ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যবর্তী চ্যানেল অতিক্রম করার চেষ্টা করতে গিয়ে ডুবে গিয়েছিল। এই ঘটনার জন্য পুলিশ পাচারকারীদের দায়ী করেছিল।

উভয় দফতরের কর্মকর্তারা এএফপিকে জানিয়েছেন, বোলোন বন্দরে প্রসিকিউটররা ট্র্যাজেডির কয়েক ঘন্টা পর শনিবার একটি তদন্ত শুরু করেছিলেন। তবে তদন্তটি প্যারিসে স্থানান্তরিত করা হয়।

মনে করা হয়েছে, একটি অভিবাসী বোঝাই নৌকা ৬৬ জনকে নিয়ে যখন যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিল তখন নৌকাডুবি ঘটে এবং ছয়জন আফগান মারা যান।

ফরাসি উপকূল কর্তৃপক্ষ প্রিমার বলেছে, এই নৌকায় যারা ছিলেন তাদের বেশিরভাগই আফগান, কিছু সুদানী “এবং কয়েকজন নাবালক”। ব্রিটিশ ও ফরাসি উপকূলরক্ষীরা ৫৯ জনকে উদ্ধার করেছেন, কিন্তু মৃতের মোট সংখ্যা অজানা রয়ে গেছে।

যদিও শনিবার রাতে সমুদ্র তল্লাশি বন্ধ করা হয়েছিল, রবিবার চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাহাজগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। প্রিমার রবিবার জোর দিয়ে বলেন: "আমরা সত্যিই কাউকে খুঁজছি কিনা তা আমরা জানি না।"

শনিবার ফ্রান্সের সমুদ্র বিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী হার্ভে বারভিল "অপরাধী পাচারকারীদের" নিন্দা করেছেন। চোরাচালান চক্রগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, এই মৃত্যুর পিছনে চোরাচালানকারীরাই রয়েছে।

মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় ২০০ জন রবিবার ক্যালে বন্দরে জড়ো হয়েছিলেন।

৩৭৬ অভিবাসীর নাম লেখা একটি বড় ব্যানারের পিছনে মিছিল করে তারা। সমাজকর্মীরা বলেছেন, ১৯৯৯ সাল থেকে বিপজ্জনকভাবে চ্যানেল পেরনোর চেষ্টা করার সময় এইসব অভিবাসী মারা গিয়েছেন।

এই পারাপারে যারা বলি, তাদের দাফন বা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে ‘ডিসেস’ (মৃত্যু) নামের একটি জোট সংগঠন। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, "এইসব লোকেরা সাধারণ উদাসীনতার জন্য মারা যাচ্ছেন।"

এই বিবৃতিতে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ক্রমাগত হয়রানি করা ও তাদের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করার জন্য সরকারকে নিন্দা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ শনিবারের জাহাজডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হতে দেবে কিনা।

XS
SM
MD
LG