রবিবার প্রাইমারি নির্বাচনে ভোট দেন আর্জেন্টিনার ভোটাররা। দেশটির মূল্যস্ফীতি ১১৬ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ দেশটির জনগণ। এছাড়া জীবনযাত্রার ব্যয় প্রতি ১০ জনের মধ্যে চারজনকে দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলেছে। এই অবস্থায়, ভোটাররা ক্ষমতাসীন মধ্য-বাম পেরোনিস্ট জোটকে একটা চরম শিক্ষা দিতে পারে।
প্রাথমিক ভোট দিতে যাওয়া বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক এবং প্রতিটি ব্যক্তি একটি করে ভোট দিতে পারবে। এই ভোট কার্যত আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের একটি বিশাল ড্রেস রিহার্সাল নির্দেশ করে এবং প্রেসিডেন্ট পদে কে জনগনের পছন্দের, তার একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেবে।
আর্জেন্টিনার বিশাল খামার খাত, বিশেষত সয়া, ভুট্টা এবং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গরুর মাংস রপ্তানিকারক, পেসো মুদ্রা, বন্ড এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনাকে প্রভাবিত করার নীতির জন্য এবারের নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।
সকাল ৮ টায় (স্থানীয় সময়) ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল প্রায় ৬টা পর্যন্ত একটানা চলে। রাত ৯টা নাগাদ প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রধান রাজনৈতিক দল, ক্ষমতাসীন পেরোনিস্ট জোট এবং রক্ষণশীল বিরোধী দল টুগেদার ফর চেঞ্জ সম্পর্কে অনেকেরই মোহভঙ্গ করে দিয়েছে এবং একজন অতি-ডান লিবার্টেরিয়ান প্রার্থীর সম্ভাব্য বিজয়ের দ্বার খুলে দিয়েছে।
রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একটি খাদ্য কোম্পানির ২২ বছর বয়সী কর্মচারী মাইকেলা পাঞ্জেরা বলেন, "আমি আসলে ভোট কাউকে না দেয়ার কথা ভাবছি। কারণ, কোনও প্রার্থীই আমার মন গলাতে পারেনি।"
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের মধ্যে আছে রক্ষণশীল টুগেদার ফর চেঞ্জ জোট। এই জোটে আছেন মধ্যপন্থী লারেটা এবং আরও কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বী, সাবেক নিরাপত্তা মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুলরিচ। উভয়ই আরও কঠোরতা এবং মুক্ত বাজারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন লিবার্টেরিয়ান অর্থনীতিবিদ জাভিয়ের মাইলি, যিনি জনমত জরিপে সম্ভাব্য ভোটের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পেয়েছেন এবং দু:সাহসী শৈলীতে ভোটারদের মন জয় করেছেন। তিনি অর্থনীতিকে ডলারাইজ করতে চান এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ করতে চান।
ভোট না দেওয়ার জন্য জরিমানার বিধান থাকা সত্ত্বেও খুব কম ভোটারই ভোট দিতে আসবেন বলে ধারণা করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।