পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির উত্তরে "সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর" এক হামলায় ছয় মালিয়ান সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এই ঘটনার পূর্বে সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, শুক্রবার বের-এ হামলায় একজন সেনা নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে।
শনিবার তারা বলছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলাকারীরা তাদের একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং মোটরবাইক রেখে গেছে।
সেনাবাহিনী আরও বলছে, টিম্বাক্টু অঞ্চলে সংঘর্ষগুলি "এফএএমএ (মালিয়ান সশস্ত্র বাহিনী) ইউনিটগুলির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির অনুপ্রবেশের চেষ্টা এবং হয়রানিমূলক অগ্নি সংযোগের" পর শুরু হয়েছিল৷
সেনাবাহিনী বলেছে, মালিয়ার সৈন্যদের কাছে হস্তান্তরের অংশ হিসাবে বের-এ অবস্থান করার কথা ছিল, কারণ মিনুসমা নামে পরিচিত জাতিসংঘের একটি মিশন, দেশটি ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মালিতে ২০২০ সাল থেকে জান্তা সরকার ক্ষমতায় আছে। তারা, বছরের শেষ নাগাদ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মিনুসমা-কে প্রত্যাহার করতে, গত জুন মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দেয়।
মালিয়ান রাজ্য থেকে স্বায়ত্তশাসন বা স্বাধীনতা চাওয়া তুয়ারেগ-অধ্যুষিত গোষ্ঠীগুলির একটি জোট সিএমএ।
সিএমএ গত জুন মাসে একটি নতুন সংবিধান অনুমোদন করার জন্য মালির সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করে। তারা বিশ্বাস করে, চুক্তিটির মাধ্যমে আপোষ করা হয়েছে।
সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায়, মালির সামরিক সরকার বর্তমানে রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থনের জন্য রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে।
২০১২ সাল থেকে, মালির উত্তরে ইসলামপন্থী বিদ্রোহের সূচনা হলে, দেশটি একটি গভীর নিরাপত্তা সংকটের কবলে পড়ে। ওই বিদ্রোহ দেশটির কেন্দ্রের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ বুর্কিনা ফাসো এবং নিজারেও ছড়িয়ে পড়ে।