সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নিয়ালা এবং দক্ষিণ দারফুর রাজ্যের অন্যত্র রবিবার সহিংসতা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সুদানের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ এই অঞ্চলকে দীর্ঘ মেয়াদে আচ্ছন্ন করার হুমকিতে ফেলে দিয়েছে।
রাজধানী খার্তুমের রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধ যেন প্রতিদিনের চিত্র। এরপর পশ্চিম দারফুরে জাতিগতভাবে লক্ষ্যবস্তু করে নতুন করে হামলায় ৪০ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারা সীমানা পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশ চাদ, মিশর, দক্ষিণ সুদান এবং অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত দারফুর অঞ্চলের একটি কৌশলগত কেন্দ্র নিয়ালায় সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-এর মধ্যে চলা সর্বশেষ সংঘর্ষটি তিন দিন ধরে চলে। এসময় দুপক্ষই আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে কামান ছুঁড়েছে। যুদ্ধের কারণে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি এবং টেলিকম নেটওয়ার্ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষক দারফুর বার অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সংঘর্ষে শনিবারই অন্তত আটজন মানুষ নিহত হয়।
সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, নিয়ালার পশ্চিমে কুবুম এলাকায় ১০০ কিমি (৬০ মাইল) পর্যন্ত যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এতে ডজন ডজন লোক মারা গেছে।
বার অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, আরএসএফ যানবাহনে সজ্জিত আরব উপজাতিরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী একটি আরব উপজাতির এলাকায় হামলা চালায়, বাজার জ্বালিয়ে দেয় এবং পুলিশ স্টেশনে আক্রমণ করে। এতে, ২৪ জন নিহত হয়।
বেশ কিছু আরব উপজাতি আরএসএফ-এর প্রতি তাদের আনুগত্য স্বীকার করেছে।
শুক্রবার, মেটা তার "বিপজ্জনক সংস্থা এবং ব্যক্তি নীতি" লঙ্ঘনের জন্য আরএসএফ-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজগুলি সরিয়ে দিয়েছে।
সুদানে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ভলকার পার্থেস জুলাই মাসে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, এই সংঘাত দ্রুত সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং চলমান সংঘাত "একটি নীতিকেন্দ্রিক গৃহযুদ্ধে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।"