অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার মধ্যে প্রতিরক্ষা শিল্প বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে জাপান


ফটোঃ জাপানের প্রতিরক্ষা শিল্প
ফটোঃ জাপানের প্রতিরক্ষা শিল্প

পূর্ব চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিকীকরণের প্রতিক্রিয়া জানাতে জাপানেরউচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সত্ত্বেও দেশটি তার অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করতে হিমশিম খাচ্ছে।

সরকার আগামী চার বছরে তার প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে ৩১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে তবে জাপানের কিছু প্রযুক্তিগত এবং বিশাল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সুপরিচিত ভোক্তা পণ্যের পাশাপাশি আরও অস্ত্র উৎপাদন করতে অনিচ্ছুক।

বিশ্বব্যাপী জাপান সবচেয়ে বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন বা গাড়ি নির্মানকারক হিসাবে বেশি পরিচিত। যা সবচেয়ে কম পরিচিত - এমনকি জাপানেও--- তা হচ্ছে তারা যে সামরিক সরঞ্জামও তৈরি করে সেটা।

মিতসুবিশি কোম্পানি জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীর জন্য যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে। ইলেকট্রনিক্স ফার্ম তোশিবা মিলিটারি গ্রেডের ব্যাটারি তৈরি করে। গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সুবারু সামরিক হেলিকপ্টার তৈরি করে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এয়ারকন্ডিশান তৈরিকারক কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ডাইকিন সাইড ব্যবসা হিসেবে গোলাবারুদ উৎপাদন করে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার চাইছে জাপানের বিশাল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি সামরিক সরঞ্জামের উৎপাদন বাড়াক তবে এ বিষয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো নীরব রয়েছে।

জাপান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স-এর বিশ্লেষক তেতসুও কোটানি ব্যাখ্যা করেছেন, মাত্র এই ২০১৪ সালে অস্ত্র রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় তাই খুব কম জাপানি প্রতিরক্ষা কোম্পানি বিদেশে অস্ত্র বিক্রি করে।

কোটানি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “জাপানের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির একমাত্র ক্রেতা হচ্ছে (জাপানের) আত্মরক্ষা বাহিনী। সুতরাং ঐসব সংস্থার পক্ষে অস্ত্র তৈরি করে মুনাফা অর্জন করা ততটা সহজ নয়। আর এই কারণে, বেশ কয়েকটি বিশেষত ছোট কোম্পানি এখন প্রতিরক্ষা শিল্প থেকে সরে যাচ্ছে।”

জাপানের আর্থিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান নিক্কেই জানিয়েছে, গত ২০ বছরে ১০০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি প্রতিরক্ষা খাত ত্যাগ করেছে।

XS
SM
MD
LG