দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য পরিচিত ইকুয়েডরের একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটিতে উপর্যুপরি সহিংসতার মধ্যে রাজধানীতে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বুধবার গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং ইঙ্গিত করেছেন যে, তার হত্যার পেছনে সংগঠিত অপরাধীদের হাত ছিল।ভিলাভিসেনসিও ২০ আগস্টের প্রেসিডেন্ট ভোটে আটজন প্রার্থীর মধ্যে একজন ছিলেন, যদিও সামনের সারিতে ছিলেন না। নিহত রাজনীতিবিদ (৫৯) বিল্ড ইকুয়েডর আন্দোলনের প্রার্থী ছিলেন।
ইকুয়েডরের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় বলেছে, ভিলাভিসেনসিও হত্যাকাণ্ডের একজন সন্দেহভাজন কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আহত হয়ে মারা গেছে।
ইকুয়েডর ঐতিহাসিকভাবে শান্ত একটি দেশ। গত বছর সেখানে সহিংসতা বেড়েছে কারণ মাদক পাচারকারীরা দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে ভিড় করেছে।এর ফলে মাদক পাচার, সহিংস হত্যাকাণ্ড এবং অপরাধী চক্রের শিশুদের নিয়োগ দেয়ার মতো উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষ করে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার সরকারের সময় ভিলাভিসেনসিও ছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে সমালোচনার কণ্ঠস্বর।
এদিকে অপর একজন প্রার্থী এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট অটো সোনেনহোলজনার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা মারা যাচ্ছি, অশ্রুর সাগরে ডুবে যাচ্ছি। আমরা এভাবে বেঁচে থাকার যোগ্য নই।আমাদের দাবি, আপনারা কিছু করুন।”
ভিলাভিসেনসিও বিবাহিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ছিলেন পাঁচ সন্তানের জনক।