সুদানের সেনাবাহিনী মঙ্গলবার রাজধানী খার্তুমে প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক গোষ্ঠীর সাথে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ভারী লড়াইয়ের শক্তি সঞ্চয়ের প্রচেষ্টা জোরদার করছে।এর ফলে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী সোমবার থেকে বিমান হামলা ও ভারি গোলা বারুদ দিয়ে আক্রমন চালাচ্ছে যাতে নীল নদের উপর প্রতিদ্বন্দ্বীর র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ব্যবহৃত একটি সেতুর দখল নেয়া যায় যার ফলে ওমদুরমান থেকে বৃহত্তর রাজধানী বাহরি ও খার্তুমে আরও অস্ত্র ও সৈন্য মোতায়েন করা যায়।
এপ্রিলের মাঝামাঝি লড়াইয়ের সময় রাজধানীর বেশিরভাগ অংশ দখল করে রাখা আরএসএফ, জোরালো ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। যার ফলে আবাসিক এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ এবং বেসামরিক হতাহত এবং লোকজনের বাস্তুচ্যুত হবার ঘটনা ঘটে।
পূর্ব ওমদুরমানের আশেপাশের সক্রিয়বাদীরা জানিয়েছেন, অন্তত নয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
একটি গণঅভ্যুত্থানে ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার চার বছর পর যুদ্ধ শুরু হয়। যৌথভাবে ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থান করার পর বেসামরিক শাসনে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের কারণে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
উভয় পক্ষই সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সামরিক অগ্রগতির দাবি করেছে তবে কোনও চূড়ান্ত অগ্রগতির লক্ষণ নেই। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা ও থমকে গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯ লাখেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে সংঘাত ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে।