অস্ট্রেলিয়া আশা করছে, বেইজিং বার্লির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলে, চীনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য বিরোধের অবসান ঘটবে। এই বিরোধ পণ্য রপ্তানিতে শত শত কোটি ডলারের ক্ষতি করেছে। চীন অনেকগুলো অস্ট্রেলীয় পণ্যের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে; কয়লা, মদ এবং গরুর মাংস এবং আরো কিছু পণ্য। দুদেশের সীমান্ত বিরোধের অংশ হিসেবে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
হংকং-এ গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং দক্ষিণ চীন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে বেইজিং-এর উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। তবে, গত সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রক বলেছে, তারা অস্ট্রেলিয়ার বার্লির ওপর আরোপিত ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করবে।
অস্ট্রেলিয়া জোর দিয়ে বলেছে, বিধিনিষেধগুলো ছিলো শাস্তিমূলক এবং অর্থনৈতিকভাবে জবরদস্তিমূলক। তবে চীনা কর্মকর্তারা বলেছেন শুল্ক আরোপের যথাযথ ও প্রয়োজনীয় কারণ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ফারেল আশা করছেন, চীনে অস্ট্রেলীয় মদ রপ্তানির ওপর আরোপিত একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা বেইজিং শীঘ্রই তুলে নেবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ চলতি বছরের শেষের দিকে চীন সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের সাথে অস্ট্রেলিয়ার পণ্য এবং পরিষেবা বাণিজ্যের আকার, দেশটির মোট বাণিজ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। চীন-অস্ট্রেলিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে।
ইস্পাত তৈরির প্রধান উপাদান আকরিক লোহাসহ, চীনের প্রধান পণ্য সরবরাহকারী দেশগুলোর একটি হলো অস্ট্রেলিয়া। ক্যানবেরা সরকার ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে, চীনের ওপর তার অত্যধিক বাণিজ্য নির্ভরতা দূর করতে চাইছে। এর মাধ্যমে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া।