ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ অবসানের বিষয় নিয়ে আয়োজিত জেদ্দা শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে রবিবার। আয়োজক দেশ সৌদি আরব এক সমাপনী বিবৃতিতে জানিয়েছে,সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা শান্তির বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।
দুই দিনের জেদ্দা শান্তি সম্মেলনে ৪২টি দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। তবে, সেখানে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কেউ ছিলেন না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির স্টাফ-প্রধান আনদ্রি ইয়ারমাক রবিবার জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আলোচনাকে “খুব ফলপ্রসূ” বলে অভিহিত করেছেন। মস্কো এই বৈঠককে কিয়েভের সমর্থনে উন্নয়নশীল বিশ্বকে (গ্লোবাল সাউথ) প্রভাবিত করার লক্ষ্যে একটি ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে।
উচ্চ পর্যায়ের এই আলোচনায় ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্রিকস সদস্য দেশগুলো হলো; ব্রাজিল, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, আলোচনায় চীনের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে, সৌদি আরবের কূটনৈতিক তৎপরতা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা
রাতভর রাশিয়া এবং ইউক্রেনের গোলা বর্ষণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত আরো চার জন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে চোনহার সেতুতে আঘাত হানে। সেতুটি অধিকৃত ক্রাইমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন ওব্লাস্টের দখল করা অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
এদিকে, রবিবার রাশিয়া পশ্চিম ইউক্রেনে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাতভর হামলায়, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কমপক্ষে ১০টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধংস করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার গভীর রাতে পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহরে একটি রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। তবে, সেখানে কতজন হতাহত হয়েছেন বা তারা সামরিক না বেসামরিক মানুষ, তা উল্লেখ করেননি জেলেন্সকি। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদনের তথ্য যাচাই করতে পারেনি।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।