এক বিশাল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে রবিবার পোপ ফ্রান্সিস ক্যাথলিক তরুণদের একটি আন্তর্জাতিক উৎসবের সমাপ্তি টানেন। এ সময় তিনি তার নিজস্ব “আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম” বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এই সমাবেশের উদ্দেশ্য ছিলো সারা বিশ্বের জন্য শান্তি কামনা করা, বিশেষত ইউক্রেনের জন্য।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভ্যাটিকান জানায়, পর্তুগালের রাজধানীতে, নদীর ধারে নির্মিত একটি পার্কে আয়োজিত সমাপনী সমাবেশে ১৫ লাখ মানুষ যোগ দেন। অসংখ্য পূণ্যার্থী খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করেন। শনিবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সমবেত হন তারা; আর রাতভর প্রার্থনায় অংশ নেন।
জনসমাবেশে আগতদের প্রতি দেয়া বক্তব্যে ৮৬ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস, এই ৬ দিনের জাম্বুরির সৌহার্দ্যপূর্ণ অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য এবং এখান থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলোকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগাতে তরুণদের প্রতি আহবান জানান।
ফ্রান্সিস বলেন, “প্রিয় বন্ধুরা, আমাকে অনুমতি দাও, এই বৃদ্ধ ব্যক্তিকে, তোমাদের মতো তরুণদের সঙ্গে আমার একটি স্বপ্নকে ভাগ করে নেয়ার জন্য; যা আমি আমার মাঝে বহন করি। আর, এটা হচ্ছে শান্তির স্বপ্ন, তরুণদের শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে দেখার স্বপ্ন, শান্তিতে বসবাস করার ও একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার স্বপ্ন।”
“তোমরা বাড়ি ফিরে গিয়ে শান্তির জন্য প্রার্থনা অব্যাহত রেখো। সর্বোপরি, তোমরা বিশ্ব শান্তির প্রতীক। তোমরা দেখিয়েছো, কীভাবে বিভিন্ন জাতি, ভাষা ও ইতিহাসের প্রতিনিধিরা পৃথক পথে না গিয়ে একাত্ম হতে পারে। তোমরাই এক ভিন্ন ভবিষ্যতের আশা জাগাও;” বললেন পোপ।
পোপ ঘোষণা দেন, পরবর্তী বিশ্ব তারুণ্য দিবস অনুষ্ঠিত হবে ২০২৭ সালে, দক্ষিণ কোরিয়ার সোওলে।