প্রায় দেড় যুগ পর, উগান্ডায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তাদের দপ্তর বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার সংস্থাটি জানিয়েছে, শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটিতে তাদের সবরকম কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
বন্ধ ঘোষণা করে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে, উগান্ডায় আমাদের দপ্তরটি ১৮ বছর পরে বন্ধ করতে হচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে আমরা দেশটির সুশীল সমাজ, বিভিন্ন স্তরের লোকদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়েছি। সেইসাথে উগান্ডার মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সবার সাথে আমাদের কাজ করার সুযোগ হয়েছে।"
হাইকমিশনারের মুখপাত্র, রাভিনা শামদাসানি, ভিওএ-কে বলেছেন, উগান্ডা সরকার গত ফেব্রুয়ারিতে তুর্ককে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, যে চুক্তির অধীনে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে দেশটিতে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল, স্বাগতিক দেশটির সাথে করা সেই চুক্তি তারা আর নবায়ন করবে না।
তিনি বলেন, “তাদের দৃষ্টিতে, উগান্ডা তাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিজেরাই দেখভাল করতে সক্ষম, তাই সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের আর কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা অবশ্যই এই সিদ্ধান্তের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত। আমরা ১৮ বছর ধরে দেশটিতে ছিলাম… এবং আমরা সরকার ও সুশীল সমাজের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছি।”
ভিওএ-এর পক্ষ থেকে জেনেভায় উগান্ডার মিশনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু উগান্ডা সরকার কেন জাতিসংঘের সংস্থাটিকে সে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যদিও জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের উপস্থিতি আর থাকবে না, শামদাসানি বলেছেন, হাই কমিশনার এবং তার দল উগান্ডায় মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে সম্পর্ক তৈরি করেছি, তা রাতারাতি শেষ হয়ে যাবে না। এই সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আমরা যা যা করতে পারি, তা নিশ্চয়ই করব। আমরা যে আর উগান্ডায় নেই তার মানে এই নয় যে আমরা দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা বন্ধ করে দেব”।
তিনি বলেন, "আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কাজ চালিয়ে যাব - তবে দূর থেকে।"