নিউজিল্যান্ড শুক্রবার জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সামরিকশক্তি বৃদ্ধির কারণে উত্তেজনা বাড়ছে বলে তারা তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
নিউজিল্যান্ডর প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্ড্রু লিটল বলেছেন, বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যয় দেশের অর্থনীতির প্রায় ১%। তিনি এই অনুপাত বাড়া প্রয়োজন বলে আশা করেন তবে তা ২% ‘র বেশি নয়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজনগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে নৌবাহিনীর পুরানো যুদ্ধজাহাজ এবং টহল দেওয়ার জাহাজগুলোকে পরিবর্তন করে নতুন কেনার কথা বিবেচনা করা। তিনি বলেন, দেশটি ভুল তথ্য, সাইবার হামলা এবং সন্ত্রাসবাদের মতো অভ্যন্তরীণ হুমকিরও সম্মুখীন হচ্ছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিটল যে নতুন প্রতিরক্ষা নীতিপত্র (পলিসি পেপার) প্রকাশ করেছেন সেখানে ব্যয়, সরঞ্জাম বা সৈন্য বৃদ্ধি সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট বিবরণ ছিল না, এই বিবরণগুলি পরবর্তী পরিকল্পনায় চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বরং রিপোর্টিতে দেশের সামরিক বাহিনীর ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করার দিকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যা প্রায়শই প্রাথমিকভাবে শান্তিরক্ষী হিসাবে কাজ করতে বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হলে তাদের সহায়তা প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয়।
রিপোর্টিতে আরও বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ড গত কয়েক দশকের মধ্যে এখন বেশি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মুখোমুখি হয়েছে এবং সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার মত পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। সামরিক বাহিনী পুরানো সরঞ্জাম এবং কর্মীনিয়োগ ও কর্মীরা যাতে কাজ ছেড়ে চলে না যায় সেসব অসুবিধা নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে।
লিটল বলেন যে নিউজিল্যান্ড সম্প্রতিক কাল পর্যন্ত মনে করেছিল যে তারা দূরে থাকার কারণে সুরক্ষিত।
ঐ রিপোর্টিতে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য চীনকে সরাসরি লক্ষ্য করে বলা হয়েছে যে তারা দেশের শক্তিকে এমনভাবে ব্যবহার করছে যা বিদ্যমান আন্তর্জাতিক নিয়ম ও রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে।
তবে লিটল জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি মনে করেন না “আমরা প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধের কাছাকাছি।”
তিনি বলেন, “আমি মনে করি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কিছুটা উত্তেজনা বাড়ছে। আমি মনে করি, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশীদার এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে জড়িত সব দেশেকেই এ বিষয়ে সম্পৃক্ত হতে হবে।