সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর জালে সিয়াদ সামরিক একাডেমি লক্ষ্য করে সোমবার এক আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলার সাথে জড়িত অফিসার ও সৈন্যসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শনিবার নিশ্চিত করেছে সোমালি কর্তৃপক্ষ। হামলায় ৩০ জন সেনা নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়।
সোমালিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশনে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদিফিতাহ কাসিম এ ঘোষণা দেন। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, পুলিশ ও সামরিক কমান্ডসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সক্রিয়ভাবে জালে সিয়াদ সামরিক ক্যাম্পে হামলার তদন্ত করছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ক্যাম্প কমান্ডার রয়েছেন বলে তিনি জানান।
একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের ব্যাপারে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়ে কাসিম বলেন, নিহত সৈন্যরা সবাই "আমাদের সন্তান" এর মতো, এবং যারা এই হামলার জন্য দায়ী, তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে, পরদিন টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের একজন সদস্য ওই আত্মঘাতী বোমা হামলাটি চালিয়েছে।
সৈন্যরা সকালের নাস্তার পর যখন লাইনে দাঁড়িয়েছিল, সেই সময় একজন আত্মঘাতী হামলাকারী তার বোমা-ভর্তি ভেস্টে বিস্ফোরণ ঘটায়। উন্নত প্রশিক্ষণ এবং পুনঃসজ্জিত করার জন্য সম্প্রতি মোগাদিশুতে ওই সৈন্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল বলে, কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
পৃথক এক বিবৃতিতে, সোমালিয়ার তথ্য উপমন্ত্রী, আবদিরহমান ইউসুফ আল-আদালা, সোমালি সরকারী বাহিনী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সাথে জঙ্গি নিধনে এক যৌথ অভিযান চালিয়েছে বলে, শনিবার সংবাদ মাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অভিযানটি মধ্য শাবেল এবং গালগাদুদ অঞ্চলের মধ্যবর্তী একটি এলাকাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এতে ১০০ আল-শাবাব জঙ্গি নিহত হয়। তবে, এই অভিযানে জড়িত বিদেশি বাহিনীর নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
গত কয়েক মাস ধরে, আল-শাবাবের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সোমালি বাহিনী। তাদের লক্ষ্য মূলত দেশটির কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলি, যেখানে গোষ্ঠীটি বহু বছর ধরে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।