অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

২০১৫ সালে মসজিদ হামলায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে কুয়েত


কুয়েত শহরের গ্র্যান্ড মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ২৭ জনের জন্য হাজার হাজার মানুষ একটি জানাজা মিছিলে অংশ নেয়। ২৭ জুন, ২০১৫। ফাইল ছবি।
কুয়েত শহরের গ্র্যান্ড মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ২৭ জনের জন্য হাজার হাজার মানুষ একটি জানাজা মিছিলে অংশ নেয়। ২৭ জুন, ২০১৫। ফাইল ছবি।

বৃহস্পতিবার কুয়েত বলেছে, তারা ২০১৫ সালে একটি শিয়া মসজিদে বোমা হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত এক বন্দিসহ পাঁচ বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। ওই হামলায় ২৭ জন মানুষ নিহত হয়েছিল। ইসলামিক স্টেট ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।

কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে। প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, মসজিদে হামলাকারী পাঁচজনের মধ্যে তিনজন খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন এবং একজন মাদক ব্যবসায়ী।

দোষ্ঠী সাব্যস্ত খুনিদের একজন মিশরীয়, আরেকজন কুয়েতি এবং দোষী সাব্যস্ত মাদক ব্যবসায়ী শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা। বিবৃতিতে মসজিদে হামলাকারী বা তৃতীয় দোষী সাব্যস্ত খুনির জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি, শুধু বলা হয়েছে, তারা বেআইনিভাবে কুয়েতে ছিলেন।

২০১৫ সালে কুয়েতের প্রাচীনতম শিয়া মসজিদগুলোর মধ্যে জুম্মার নামাজের সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ইসলামিক স্টেট সেই সময়ে সিরিয়া এবং ইরাক উভয়েরই বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিল। তারা এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। সুন্নি চরমপন্থী গোষ্ঠী শিয়াদের ধর্মত্যাগী বলে মনে করে। তারা মনে করে শিয়াদেরকে মেরে ফেলা উচিত।

দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে ছোট তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে এটিই প্রথম জঙ্গি হামলা। আক্রমণটি সম্ভবত কুয়েতের সুন্নি এবং শিয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, কিন্তু এতে বরং হিতে-বিপরীত হয়েছিল। এই হামলার ফলে সাদ্দাম হোসেনের ১৯৯০ সালের আক্রমণের পর প্রথমবারের মতো জাতীয় সংহতির অনুভূতিকে পুনরায় জাগিয়ে তোলে।

কুয়েতে ফাঁসি কার্যকর করা তুলনামূলকভাবে বিরল। সেখানে গত নভেম্বরে সাতজন বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর আগে সর্বসাম্প্রতিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল ২০১৭ সালে। সে সময় দেশটি শাসক পরিবারের সদস্যসহ সাতজন বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল।

XS
SM
MD
LG